ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

এবারো সিন্ডিকেট আতঙ্কে রংপুরের চামড়া ব্যবসায়ীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর
ফাইল ছবি

দাম নিয়ে এবারও রংপুরের চামড়া ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট আতঙ্কে ভুগছেন। গত বছর সিন্ডিকেট করে চামড়ার দাম নির্ধারণ করায় ব্যববসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়েন। ক্রমাগত লোকসানের কারণে অনেকেই ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন। চামড়া ব্যবসায়ীদের হতে নগদ টাকা নেই। ব্যাংক থেকেও ঋণ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। বিগত দিনের বকেয়া পরে রয়েছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের ট্যানারিগুলোতে। 

রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলে প্রায় ৬০০ বেশি চামড়া ব্যবসায়ী টাকার অভাবে এবার চামড়া ক্রয় করতে পারবেন না বলে সন্দিহান হয়ে পড়েছে। গত বছরের মত এবারো অর্ধেক দামে ট্যানারি মালিকরা সিন্ডিকেট করে চামড়ার বাজার নিয়ন্ত্রণ করবে এমনটা শঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। ক’দিন পরেই কোরবানীর ঈদ। চামড়ার ন্যায়্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিতে এই অঞ্চলে ট্যানারি স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।  

চামড়া ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের প্রতি বছর কোরবানীর সময় প্রতিটি জেলায় দেড় থেকে দুই লাখ পিচ চামড়ার আমদানি হয়। সেই হিসেবে প্রতি বছর কোরবানীর সময় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ পিচ গরুর চামড়া আমদানি হয়। ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা এবার সেই লক্ষ্য পূরণ নাও হতে পারে। রংপুরে কয়েক বছর আগেও ২’শ ওপর চামড়ার গোডাউন ছিল। বর্তমানে তা নেমে এসেছে ২০ থেকে ২৫ টিতে। 

এদিকে ঢাকার বাইরে চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি বর্গফুট ৫০ টাকা।  ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা গত বছরের মত সিন্ডিকেট করে ট্যানারি মালিকরা বাজার নিয়ন্ত্রণ করবে। চামড়া ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছর অর্ধেক দামে চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন। ক্রেতা না থাকায় অনেকে খাসির চামড়া ফেলে দিয়েছেন। এবারও এমনটা হতে পারে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে। অনেক ব্যবসায়ীদের ধারণা এবার দেশের ট্রানারি মালিকরা চামড়ার সঠিক মূল্য না দিলে চামড়া ভারতে পাচার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।  

এ প্রসঙ্গে রংপুর জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আজগর আলী বলেন, লোকসান হওয়ায় ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছি। 

বিডি প্রতিদিন/হিমেল



এই পাতার আরো খবর