ঢাকা, সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চাঁদপুরের কামার শিল্পের কারিগররা
চাঁদপুর প্রতিনিধি
ছবি- বাংলাদেশ প্রতিদিন।

চাঁদপুরে ব্যস্ত সময় পার করছে কামার শিল্পের প্রায় তিন হাজার কারিগর। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে দিনরাত খেটে দাঁ, বটি, ছুরিসহ লোহার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তৈরি করছেন কারিগররা। যদিও দাম কিছুটা বেশি নেয়ার অভিযোগ ক্রেতাদের। কাঁচামালের দাম বাড়ার ফলে এখন আগের মতো লাভ হচ্ছে না। এই শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্টরা সরকারের বিশেষ সহায়তা প্রত্যাশা করছেন।

হাতুড়ির টুংটাং শব্দ জানান দিচ্ছে কামারশালায় কর্মতৎপরতা বেড়েছে। বছরের অন্যান্য সময় লোহার সামগ্রীর কদর কম থাকলেও ঈদুল আযহার আগে দম ফেলার ফুরসত থাকে না তাদের। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে, ব্যস্ততা ও র্নিঘুম রাতজাগা বাড়ছে। সেইসাথে  নির্দিষ্ট সময়ে জিনিস সরবরাহেও রয়েছে চাপ। 

কামার দীপক চন্দ্র কর্মকার বলছেন, আমরা ও কারিগররা দিনরাত খাটছি। বর্তমানে শ্রমিকদের পারিশ্রমিক, কয়লা ও লোহার দাম বেড়েছে। এসব লোহার জিনিসপত্র বানাতে খরচ পড়ছে অনেক বেশি। তাই দাম একটু বেশি নিয়েও পুষিয়ে উঠতে পারছি না। ব্যবসা টিকিয়ে রাখা এবং পূর্ব পুরুষদের করা পেশা ছাড়তেও পারছি না।

ক্রেতা কামরুল হাসান রনি ও নজরুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি বটি-দাঁ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে এক হাজার টাকায়, চাপাতি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা, আকার ভেদে ছুরি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ৪০০ টাকা। বিগত বছরের তুলানায় এবার দাম অনেকটা বেশি। তাই খুব প্রয়োজন ছাড়া পুরানো দাঁ ছুরিগুলো শান দিয়ে নিচ্ছি।

চাঁদপুর বিসিক জেলা কার্যালয়ের সহকারি মহা-ব্যবস্থাপক মো. ফজলুল করিম  বলেন, বর্তমান বিশ্ব বাজারে টিকে থাকতে হলে পণ্যের গুণগত মান বৃদ্ধি করতে হবে। শিল্পের আধুনিকায়ন না করে পুরনো ধাচে পড়ে থাকলে চলবে না। প্রজন্মের সাথে তাল মিলিয়ে যদি আধুনিকায়ন করতে না পারে, তবে তাদের শিল্প টিকিয়ে রাখা দায় হবে। 

তিনি আরও বলেন, পণ্যের গুণগত মান ও বিপননের বিষয়টি জোড়দার করলে বিক্রি বৃদ্ধি পাবে। আমরা সকল ধরনের শিল্প নিয়ে কাজ করে থাকি। কামার শিল্পদের ৫দিনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারি। তারা শিল্প নিবন্ধন করে নিলে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা পাবে। এছাড়াও কিছু ক্ষুদ্র ঋণ সুবিধার আওতায় নিয়ে আসতে পারবো। 

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ



এই পাতার আরো খবর