দূর দূরান্তের পর্যটক না থাকায় রাঙামাটি পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ছিল স্থানীয়দের ভীড়। এবার ঈদের ছুটিতে আশানুরূপ পর্যটক না পেয়ে হতাশ হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম আর আশপাশের জেলা মিলে এবার ৩ দিনে মাত্র ২ হাজার পর্যটকের আগমন ঘটে রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সে। তবে বেশির ভাগ হোটেল-মোটেল ছিল ফাঁকা। তবে স্থানীয় ভ্রমণ পিপাসু ছিল চোখে পড়ার মতো। তাদের পদচারণায় মুখরিত রাঙামাটি পর্যটন কেন্দ্রগুলো।
রাঙামাটি পর্যটন কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখা যায়, নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ, কেউ বাদ নেই ভ্রমণ তালিকায়। রাঙামাটির নৈসর্গিক আবেশ আর দর্শনীয় স্থানগুলো পর্যটকদের আকর্ষণ করে সহজেই। তাই অসংখ্য পর্যটকের আনাগোনা বেড়েছে রাঙামাটি শহরে। যান্ত্রিক জীবনের ক্লান্তি দূর করতে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে ছুটে আসছেন এ পাহাড়ি জনপথে। সারাদিন ঘুরে আবারও ফিরে যাচ্ছে নিজ গন্তব্যে। কারণ এবার রাঙামাটির বেশির ভাগ পর্যটক ছিল চট্টগ্রামসহ আশপাশের জেলার। ঝুলন্ত সেতু আর পলওয়ের পার্কে পর্যটকদের ভীড় থাকলেও বেসরকারি হোটেল-মোটেলগুলো ছিল অর্ধেক শূন্য।
স্থানীয় পর্যটক রায়হান হাসান বলেন, পর্যটন নগরী রাঙামাটিতে পর্যটকদের আনন্দ ও মনোরঞ্জন জোগানোর পর্যটন ঝুলন্ত সেতুসহ অসংখ্য নৈসর্গিক কেন্দ্র সরকারি পর্যটন মোটেল, ডিসি বাংলো পার্ক, সুবলং ঝর্ণা ও ভাসমান রেস্টুরেন্ট, রাঙামাটি পার্ক, সুখী নীল গঞ্জ, স্বচ্ছ কাপ্তাই হ্রদের জলে রোমাঞ্চকর নৌ-ভ্রমণ, ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও প্রাচীন নিদর্শন। কাপ্তাই আসামবস্তি সড়ক, ফুরামন পাহাড় খুবই সুন্দর। কিন্তু আধুনিকতার ছোয়া কোথাও ছিল না। উন্নয়ন হয়নি। পর্যটন কেন্দ্রগুলো ঢেলে সাজানো গেলে পর্যটকদের থাকার আগ্রহ বাড়বে।
রাঙামাটি পর্যটন মোটেল ও হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, ঈদুল আজহা থেকে রাঙামাটিতে পর্যটন কমপ্লেক্সে দৈনিক ৪ থেকে ৫ হাজার পর্যটক এসেছে। এবার তেমন পর্যটক আসেনি। অনেকে বুকিং করে আসেনি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত