ঢাকা, রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

রাঙামাটি পর্যটক কেন্দ্রে স্থানীয়দের ভীড়, হতাশ হোটেল ব্যবসায়ীরা
ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

দূর দূরান্তের পর্যটক না থাকায় রাঙামাটি পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ছিল স্থানীয়দের ভীড়। এবার ঈদের ছুটিতে আশানুরূপ পর্যটক না পেয়ে হতাশ হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা।

ঢাকা-চট্টগ্রাম আর আশপাশের জেলা মিলে এবার ৩ দিনে মাত্র ২ হাজার পর্যটকের আগমন ঘটে রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সে। তবে বেশির ভাগ হোটেল-মোটেল ছিল ফাঁকা। তবে স্থানীয় ভ্রমণ পিপাসু ছিল চোখে পড়ার মতো। তাদের পদচারণায় মুখরিত রাঙামাটি পর্যটন কেন্দ্রগুলো।

রাঙামাটি পর্যটন কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখা যায়, নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ, কেউ বাদ নেই ভ্রমণ তালিকায়। রাঙামাটির নৈসর্গিক আবেশ আর দর্শনীয় স্থানগুলো পর্যটকদের আকর্ষণ করে সহজেই। তাই অসংখ্য পর্যটকের আনাগোনা বেড়েছে রাঙামাটি শহরে। যান্ত্রিক জীবনের ক্লান্তি দূর করতে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে ছুটে আসছেন এ পাহাড়ি জনপথে। সারাদিন ঘুরে আবারও ফিরে যাচ্ছে নিজ গন্তব্যে। কারণ এবার রাঙামাটির বেশির ভাগ পর্যটক ছিল চট্টগ্রামসহ আশপাশের জেলার। ঝুলন্ত সেতু আর পলওয়ের পার্কে পর্যটকদের ভীড় থাকলেও বেসরকারি হোটেল-মোটেলগুলো ছিল অর্ধেক শূন্য।

স্থানীয় পর্যটক রায়হান হাসান বলেন, পর্যটন নগরী রাঙামাটিতে পর্যটকদের আনন্দ ও মনোরঞ্জন জোগানোর পর্যটন ঝুলন্ত সেতুসহ অসংখ্য নৈসর্গিক কেন্দ্র সরকারি পর্যটন মোটেল, ডিসি বাংলো পার্ক, সুবলং ঝর্ণা ও ভাসমান রেস্টুরেন্ট, রাঙামাটি পার্ক, সুখী নীল গঞ্জ, স্বচ্ছ কাপ্তাই হ্রদের জলে রোমাঞ্চকর নৌ-ভ্রমণ, ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও প্রাচীন নিদর্শন। কাপ্তাই আসামবস্তি সড়ক, ফুরামন পাহাড় খুবই সুন্দর। কিন্তু আধুনিকতার ছোয়া কোথাও ছিল না। উন্নয়ন হয়নি। পর্যটন কেন্দ্রগুলো ঢেলে সাজানো গেলে পর্যটকদের থাকার আগ্রহ বাড়বে।

রাঙামাটি পর্যটন মোটেল ও হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, ঈদুল আজহা থেকে রাঙামাটিতে পর্যটন কমপ্লেক্সে দৈনিক ৪ থেকে ৫ হাজার পর্যটক এসেছে। এবার তেমন পর্যটক আসেনি। অনেকে বুকিং করে আসেনি। 

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত



এই পাতার আরো খবর