বগুড়ায় জোড়া খুনের ঘটনায় জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কবির আহম্মেদ মিঠুর নামে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তি না দিলে আগামী ৩০ জুনের পর কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন শ্রমিক নেতারা।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে শহরের সাতমাথায় জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের আয়োজনে মানববন্ধনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
এতে সভাপতির বক্তব্য রাখেন জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল হামিদ মিটুল। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা থেকে সৈয়দ কবির আহম্মেদ মিঠুর নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। মুক্তি না দিলে আগামী ৩০ জুনের পর আলোচনার মাধ্যমে বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলে কর্মবিরতি ঘোষণা করা হবে।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বগুড়া বাস-মিনিবাস ও কোচ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং পৌর কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম, আন্তজেলা ট্রাক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল মান্নান মন্ডল, মিঠুর বড় মেয়ে সৈয়দ সানজিদা আহম্মেদ তুলসী, জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন, শহিদুল ইসলাম সওদাগর, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর প্রামানিক, জালাল উদ্দিন, শফিকুল ইসলাম, লুৎফর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাহবুবর রহমান মানিক, সাজ্জাদ হোসেন, নুর আমিন মন্ডল, জেলা সম্মিলিত শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মোমিন মন্ডল প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুন বগুড়ায় ঈদুল আজহার রাতে জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে। এদিন রাতে শহরের নিশিন্দারা চকরপাড়ায় মোহাম্মদ শরীফ ও তার মামাতো ভাই মোহাম্মদ রোমানকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে এ ঘটনায় শরীফের মা হেনা বেগম বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রধান আসামি বগুড়া জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কবির আহম্মেদ মিঠু।
অন্য আসামিরা হলেন-মিঠুর ভাই ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বগুড়া জেলা পরিষদের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান সৈয়দ সার্জিল আহম্মেদ টিপু, টিপুর ভায়রা ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি শাহ মেহেদী হাসান হিমু, শেখ সৌরভ, নাঈম হোসেন এবং আজমিন রিফাতসহ ১৩ জন নামীয় ও অজ্ঞাতনামা ১৪ থেকে ১৫ জন। মামলায় মিঠুসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই