ঢাকা, রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি কমলেও বেড়েছে ঘাঘট-করতোয়ার পানি
গাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধার তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি কমতে শুরু করেছে। এই দুই নদ-নদীর পানি কমলেও তিস্তার পানি এখনো বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বেড়েছে ঘাঘট ও করোতোয়ার পানি। ফলে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষের মাঝে বন্যা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

আজ শনিবার বিকেল ৩টায় গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কন্ট্রোলরুম সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫২ সে. মি. হ্রাস পেয়ে দুপুর ৩টা পর্যন্ত তিস্তার পানি (কাউনিয়া পয়েন্টে) বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ৭ সে.মি. কমে বিপৎসীমার ৮৩ সে. মি. নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় ঘাঘট নদীর পানি ৫ সে. মি. বৃদ্ধি পেয়ে ১২৪ সে. মি ও করতোয়া নদীর পানি ৩৩ সে. মি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৪৩ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

জানা যায়, গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে জেলার সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার পর শনিবার থেকে ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার পানি কমতে শুরু করে। তবে বাড়ছে ঘাঘট ও করতোয়ার পানি। এ কারণে নদীর তীরবর্তী ও নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হচ্ছে। এসব এলাকার বেশ কিছু ঘরবাড়ি ও বিভিন্ন ফসলাদি পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারো মানুষ।

গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার নদীবেষ্টিত চরাঞ্চলে বেশ কিছু স্থানে প্লাবিত হলোও তা কমতে শুরু করেছে। সেই সাথে ঘাঘট ও করতোয়ায় পানিবৃদ্ধির ফলে স্থানীদের মাঝে বন্যা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। কিছু সংখ্যক ঘরবাড়িতে পানি জমতে শুরু করেছে। সেই সাথে প্লাবিত হতে শুরু করেছে নতুন নতুন এলাকা। এসব এলাকার পানিবন্দি মানুষরা গৃহপালিত পশু নিয়ে পড়ছেন বিপাকে।    

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে ঘাঘট ও করতোয়ার পনি বাড়লেও তা বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সার্বিক পরিস্থিতির উপর সার্বক্ষনিক নজর রাখা হচ্ছে বলে জানান তিনি। 

 

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল



এই পাতার আরো খবর