নেত্রকোনা-মোহনগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে ট্রাক ওভারটেক করতে গিয়ে ট্রাকের ধাক্কায় সিএনজি অটোরিকশা খাদে পড়ে সুজন বর্মণ (৪০) নামের এক স্বর্ন কারিগর নিহত হয়েছেন। এ দুঘটনায় তার স্ত্রীসহ আরও তিন যাত্রী আহত হয়েছেন। শুক্রবার সকালে নেত্রকোনা শহরের পৌরসভাধীন রাজুর বাজার শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছতেই মালবাহী ট্রাককে ওভারটেক করে যাওয়ার সময় সিএনজিটি ধাক্কা খেয়ে খাদে পড়ে যায়। আহতদেরকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে পাঠায় স্থানীয়রা। তবে সিএনজি চালক পালিয়েছে।
সুজন মোহনগঞ্জ উপজেলায় বোন জামাইয়ের স্বর্নের দোকানে কারিগরের কাজ করতেন। ময়মনসিংহের ত্রিশাল জেলার ধলা গ্রামের বরেন্দ্র চন্দ্র বমর্নের ছেলে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সুজন বর্মন ৭/৮ বছর ধরে মোহনগঞ্জে তার বোনের জামাইয়ের জুয়েলারি দোকানে কারিগর হিসেবে কাজ করতেন। সেই সুবাদে মোহনগঞ্জ পৌরসভার বউ বাজার এলাকায় তার স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
শুক্রবার সকালে সুজন বর্মন তার স্ত্রীকে নিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশা করে শ্বশুর বাড়ি কিশোরগঞ্জে যাচ্ছিলেন। সকাল ১১টার দিকে জেলা শহরের শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে একটি মালবাহী ট্রাককে অভারটেক করার সময় ট্রাকের সাথে ধাক্কা লেগে সিএনজিটি সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে ৪ জনই মারাত্ম আহত হন। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে নেত্রকোনা জেলা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুজন বর্মনকে মৃত ঘোষনা করেন। আহতদের মধ্যে দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। তবে ঘটনাস্থলে সিএনজি চালককে পায়নি কেউ। প্রত্যক্ষদর্শী বাস চালক রফিকুলসহ স্থানীয়রা বলেন সকল সড়কে সিএনজি অটোরিকশাগুলো সকল গাড়িকে ওভারটেক করে যত্রতত্র চলে। তারা যাত্রীদের জীবনের তোয়াক্কা করে না। যে কারনে কয়েকদিন পরপরই এমন দুর্ঘটনা ঘটে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দুর্ঘটনার সময় গাড়ি থেকে আগেই নেমে পড়ে চালকরা।
নেত্রকোনা সদর মডেল থানার ওসি মো. আবুল কালাম সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একজন মারা গেছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম