ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় ৩টি রাসেলস ভাইপার সাপ ধরা পড়েছে। এর মধ্যে গ্রামবাসী দুইটি রাসেলস ভাইপার মেরে ফেলেছে। একটি বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেছে।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ৪নং স্বরুপপুর ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্তবর্তী বিপুলবাড়িয়া গ্রামের মৃত নুর ইসলামের ছেলে উজ্জ্বল হোসেন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ইছামতি নদীতে মাছ ধরার জন্য চেড়ুয়া জাল (দুয়াড়ি) পেতে রেখেছিলেন। বিকালে নদী থেকে চেড়ুয়া জাল তুলতে গেলে দেখতে পান বিষধর রাসেলস ভাইপার সাপ ভিতরে আটকে আছে। খবর পেয়ে মহেশপুর বনবিভাগের কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এরপর সাপটি অবমুক্ত করার জন্য তিনি নিয়ে যান।
ওই দিনই মহেশপুর উপজেলার মাইলবাড়িয়া গ্রামে একটি সাপ দেখেতে পেয়ে শিশুরা চিৎকার চেচামেচি করতে থাকে। সাপটিকে মেরে ফেলে স্থানীয় গ্রামবাসী। পরে রাসেলস ভাইপার বলে সনাক্ত করা হয়।
এদিকে শুক্রবার মহেশপুরের কাঞ্চনপুর-হুদাপাড়া গ্রামের কৃষকরা ফুলের ক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে একটি রাসেলস ভাইপার দেখতে পান। কৃষকরা সাপটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলে।
জীববৈচিত্র নিয়ে কাজ করা পরিবেশবিদ নাজমুল হোসেন জানান, ২০ বছর আগে স্থানীয় ভাবে চন্দ্রবোড়া নামে পরিচিত রাসেলস ভাইপার সাপ দেখা যেত। ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর রাসেলস ভাইপার সাপ এলাকাবাসির নজরে পড়ে। তিনি আরও জানান, মহেশপুরের সীমান্তঘেষা গ্রামগুলোতে রাসেলস ভাইপার সাপ প্রায়ই দেখা যাচ্ছে। ভারতের ইছামতি নদী দিয়ে এই সাপ আগেও যেমন এসেছে এখনো আসছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন