ঢাকা, সোমবার, ১ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি, তিস্তার পানি বিপৎসীমার উপরে
গাইবান্ধা প্রতিনিধি

ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে আবারও গাইবান্ধার সবগুলো নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। পানি বৃদ্ধির ফলে ইতোমধ্যে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৫ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও করতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যহত রয়েছে। এতে নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারও মানুষ।

সোমবার বিকেল ৩টায় গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় উচ্চতা ৮ সে.মি বৃদ্ধি পেয়ে দুপুর ৩টা পর্যন্ত তিস্তার পানি (কাউনিয়া পয়েন্টে) বিপৎসীমার ৫ সে.মি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া ব্রহ্মপুত্র নদের পানি (ফুলছড়ি পয়েন্টে) ৩৭ সেমি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১০৮ সে.মি, ঘাঘট নদীর পানি (নিউব্রিজ পয়েন্টে) ২৭ সে.মি বৃদ্ধি পেয়ে ১৬৯ সে.মি ও করতোয়া নদীর পানি (চকরহিমাপুর পয়েন্টে) ১ সেমি বৃদ্ধি পেয়ে ৩৫৯ সেমি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ২৪ ঘণ্টায় ৬০ মিলিমিটার।

জানা যায়, গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে জেলার সবগুলো নদ-নদীর পানি আবারও বাড়তে শুরু করেছে। এ কারনের নদীর তীরবর্তী ও নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হচ্ছে। এসব এলাকার বেশ কিছু ঘরবাড়ি ও বিভিন্ন ফসলাদি পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারও মানুষ। বন্যা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে এসব এলাকার মানুষের মাঝে।

নদ-নদীগুলোর পানিবৃদ্ধির কারণে গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার নদীবেষ্টিত চরাঞ্চলে বেশ কিছু স্থানে প্লাবিত হচ্ছে। সদরের কামারজানি, ঘাগোয়া, ফুলছড়ির ফজলুপুর, এরেন্ডাবাড়ি, সুন্দরগঞ্জের হরিপুর, কাপাসিয়া, তারাপুর এলাকায় পানি উঠতে শুরু করছে। সেই সাথে সুন্দরগঞ্জের কাপাসিয়া এলাকায় পানিবৃদ্ধির ফলে কিছু সংখ্যক ঘরবাড়িতে পানি জমেছে। ধীরে ধীরে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এসব এলাকার পানিবন্দী মানুষরা গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ছেন।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, ভারি বর্ষণ ও উজনের ঢলে গাইবান্ধায় আবারও নদ-নদীর পানিবৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী ৩ জুলাই পর্যন্ত পানি কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ভাঙনরোধে প্রস্তুত রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

বিডি প্রতিদিন/এএ



এই পাতার আরো খবর