ঢাকা, বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

বগুড়ায় যমুনার পানি বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপরে
নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত ছিল।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আলহাজ নাজমুল হক জানান, সাঁড়িয়াকান্দি উপজেলায় যমুনার পানি বিকাল ৩টার পর বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হয়েছে। গত বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পানির উচ্চতা ছিল ১৫ দশমিক ৬৯ মিটার, আর বৃহস্পতিবার সকালে তা বেড়ে ১৬ দশমিক ৩৭ মিটার হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় পানির উচ্চতা বেড়েছে ৬৮ সেন্টিমিটার।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, সাঁড়িয়াকান্দির ইছামারা, হাটশেরপুর, কর্নীবাড়ী, সোনাতলার সুজাতপুর এবং ধুনটের শহড়াবাড়ীতে নদী ভাঙনের ঝুঁকি রয়েছে। বিশেষ করে ইছামারায় ৫০০ মিটার, হাটশেরপুরে ৩০০ মিটার এবং কর্নীবাড়ীতে ১০০ মিটার এলাকা ঝুঁকির মুখে রয়েছে।

পানির বৃদ্ধি এবং নীচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার কারণে সাঁড়িয়াকান্দির কর্নিবাড়ি, কামালপুর, হাটশেরপুর, ফুলবাড়ি, চালুয়াবাড়ির চরাঞ্চল তলিয়ে গেছে। তবে দীর্ঘ ৪৫ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে এখনও কোনো ঝুঁকি দেখা যায়নি। ছয়টি পয়েন্টে নদী ভাঙনের পরও ইছামারা অংশে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কারণ নদী থেকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দূরত্ব মাত্র ৩০০ মিটার।

বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, সাঁড়িয়াকান্দি, সোনাতলা এবং ধুনট উপজেলায় বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। নদীপাড়ের মানুষের ক্ষতি রোধে সংশ্লিষ্টদের দ্রুত উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া জানান, জরুরি ভিত্তিতে ৫০০ মেট্রিকটন চাল, ১০ লাখ টাকা এবং ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবারের চাহিদা পেশ করা হয়েছে। দুই এক দিনের মধ্যে এই ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে যাবে।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল



এই পাতার আরো খবর