ঢাকা, শনিবার, ৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

বগুড়ায় বিপৎসীমার ওপরে যমুনার পানি
নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া:

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতি বৃষ্টির কারণে বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি বেড়ে ৫৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ২৪ ঘন্টায় পানি বেড়েছে ১০ সেন্টিমিটার। এতে করে তলিয়ে গেছে ৮২১ হেক্টর ফসলি জমি। এছাড়া রাস্তাঘাটসহ নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। শনিবার দুপুর পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত ছিল।

শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত যমুনা নদীর পানির উচ্চতা ১৬ দশমিক ২৫ মিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এদিকে তিন উপজেলার ৪৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করেছে। এর মধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয় দুটি, একটি মাদ্রাসা ও ৪৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। তিন উপজেলার মধ্যে সারিয়াকান্দিতে ৩৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সোনাতলা উপজেলায় ৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১টি মাদ্রাসা এবং ধুনটে ৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আলহাজ নাজমুল হক জানান, সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলায় যমুনার পানি শনিবার দুপুরে বিপৎসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হয়েছে। পানি বৃদ্ধির কারণে এসব  উপজেলার চরগুলোর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সারিয়াকান্দি উপজেলার কর্নিবাড়ি, কামালপুর, হাটশেরপুর, ফুলবাড়ি ও চালুয়াবাড়ি ইউনিয়নের চরাঞ্চলের নিচু জায়গা ও ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। তবে দুই এক দিনের মধ্যে পানি কমতে শুরু করবে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, পানি বৃদ্ধি পেলেও যমুনা তীরের ৪৫ কিলোমিটার দীর্ঘ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে এখনো কোনো ঝুঁকি দেখা দেয়নি। যমুনার ৬টি পয়েন্টে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। এরমধ্যে ইছামারা অংশে ভাঙন প্রবল। সেখানে নদী থেকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দূরত্ব মাত্র ৩০০ মিটার। ঝুঁকিপূর্ণ ওই এলাকা রক্ষায় কাজ করা হচ্ছে।

বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মতলুবুর রহমান জানান, যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে গেছে। সারিয়াকান্দিতে ৫৬০ হেক্টর এবং সোনাতলা উপজেলায় ২৬১ হেক্টর ফসলি জমি নিমজ্জিত হয়েছে। এসব জমিতে পাট, ভুট্টা ও সবজি চাষ করা হয়েছিল। 

বিডি প্রতিদিন/এএম



এই পাতার আরো খবর