পানি কিছুটা কমলেও জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে অন্তত দুই লাখ মানুষ।
সোমবার বিকাল পর্যন্ত দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৭৪ সেন্টিমিটার এবং সরিষাবাড়ীর জগন্নাথগঞ্জ ঘাট পয়েন্টে ৬ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ, ইসলামপুর, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলার ৫০টি ইউনিয়নের অন্তত দুই লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
বিস্তৃীর্ণ এলাকায় পানি ছড়িয়ে পড়ায় প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা বন্যা প্লাবিত হচ্ছে। সেই সাথে তলিয়ে গেছে বসতবাড়ি, হাট-বাজার, রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মাছের ঘেরসহ ৮ হাজার হেক্টর ফসলি জমি। বন্যার পানির কারণে ২৫৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৬৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বন্যা দুর্গতদের জন্য ১১টি আশ্রয়কেন্দ্রে কয়েক হাজার পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।
দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাবার ও সুপেয় পানির সংকট। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্গতদের জন্য ৫০০ মেট্রিক টন চাল, সাড়ে ৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার এবং নগদ ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, গঠন করা হয়েছে ১১টি মেডিকেল টিম।
বিডি প্রতিদিন/এমআই