ফরিদপুরে খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে একই পরিবারের আটজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শনিবার রাত ৮টার দিকে সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের কাঁঠালবাড়িয়ার যুগিডাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
তবে ভুক্তভোগীদের দাবি, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে খাবারে বিষ মেশানো হয়েছে।
অসুস্থরা হলেন-ডালিয়া বেগম (৩৫), ডালিয়ার মেয়ে যুথী (১৬), একই পরিবারের পপি (২৫), হৃদয় (১৬), ফাতেমা (৮), মিম (৯), অনিতা (২২) ও রাজিব (২০)।
স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার কাঁঠালবাড়িয়ার যুগিডাঙ্গা গ্রামের কৃষক জয়নাল মাতুব্বরের বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনদের পিঠা খাওয়ার দাওয়াত করা হয়। এসময় পূর্ব বিরোধের জের ধরে সম্রাট মাতুব্বর নামে এক প্রতিবেশী গরুর মাংসের মধ্যে বিষ প্রয়োগ করে বলে দাবি জয়নালের পরিবারের।
রাত ৮টার দিকে পরিবারের সবাই মিলে রাতের খাবার খাওয়ার আধাঘণ্টা পর একে একে ৮ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে ওইদিন রাত ১১টার দিকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতাল থেকে একটু সুস্থ হওয়ার পর রবিবার বাড়িতে গেলে ফের অসুস্থ হওয়ায় সোমবার দুপুরে আবার হাসপাতালটিতে ভর্তি হয়েছেন তারা। এ ঘটনার পর থেকে পরিবারটি আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।
কৃষক পরিবারটির দাবি, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সম্রাট মাতুব্বর খাবারে বিষ মিশিয়েছে। বিষ প্রয়োগের অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্য জানতে সম্রাট মাতুব্বরের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে খাবারে বিষ মেশানোর বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সম্রাট মাতুব্বরের ভাবী রুমা বেগম।
রুমা বেগম বলেন, ‘রাতের আঁধারে কে বা কারা খাবারে বিষ দিয়েছেন, তা একমাত্র আল্লাহই বলতে পারবেন। যারা খাবারে বিষ দেওয়ার কথা বলছেন তারাও তো আমাদের আত্মীয়। কেনই বা সম্রাট খাবারে বিষ দিতে যাবে। ওই রাতে খাবারে কে বিষ দিয়েছেন, সেটা তো কেউ দেখেনি। আমিও চাই যে খাবারে বিষ দিয়েছেন, তার বিচার হোক।’
গট্টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লাভলু বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। আমি রোগীদের হাসপাতালে দেখতে যাবো। এর সাথে যারা জড়িত তাদের কঠোর বিচার দাবি করছি।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান বলেন, এ ঘটনা নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই