গত ২ মাসে গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১১ জন সাপে কাটা রোগী ভর্তি হয়। এদের মধ্যে ১০ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। একজন রোগী এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন। সাপে কাটা কোনো রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাননি। সুতরাং সাপে কামড় দিলে ওঝার কাছে না নিয়ে, হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিলে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে যাবে।
মুকসুদপুরে সাপ ও সর্পদংশন বিষয়ক সচেতনতামূলক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার (টিএইচএএফপিও) ডা. রায়হান ইসলাম শোভন এসব কথা বলেন।
সোমবার দুপুরে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভা কক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ডা. রায়হান ইসলাম শোভন বলেন, সাপের ছোবলে আতঙ্কিত না হয়ে দ্রুত রোগীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসতে হবে। মুকসুদপুর হাসপাতালে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম মজুদ রয়েছে। তাই রোগীকে ওঝার কাছে নিয়ে ভুল চিকিৎসা না দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে। তাই সাপ ও সাপের ছোবলে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হতে হবে।
মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. রায়হান ইসলাম শোভনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. দ্বীপ সাহার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলার নয়ন পত্রিকার সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বেলায়েত, পাক্ষিক মুকসুদপুর সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক হায়দার হোসেন, মুকসুদপুর প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক কাজী ওহিদুল ইসলাম প্রমুখ। এসময় মুকসুদপুরে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই