ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

বগুড়া থেকে নিখোঁজ একই পরিবারের ৭ জনকে রাঙামাটি থেকে উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া ও রাঙামাটি প্রতিনিধি

বগুড়া শহরের নারুলী এলাকা থেকে রহস্যজনকভাবে একই পরিবারের  নিখোঁজ সাত জনকে রাঙামাটি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

গতকাল সোমবার রাঙামাটি জেলার সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পাড়া এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। পিবিআই বলছে, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী উপার্জনের জন্য কাউকে না জানিয়ে রাঙামাটি জেলায় গিয়েছিলেন তারা।

উদ্ধার সাতজন হলেন লালমনিরহাটের খোচাবাড়ি এলাকার ফাতেমা বেগম, তার ছেলে বিক্রম আলী, ছোটো মেয়ে রুনা খাতুন, বড় মেয়ে রুমি বেগম, তার নাতনী বৃষ্টি খাতুন এবং যমজ নাতি হাসান ও হোসেন। তারা গত ১০ বছর ধরে বগুড়া শহরের নারুলী এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতো।   গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে বগুড়ার পিবিআই কার্যালয়ের পুলিশ পরিদর্শক জাহিদ হোসেন মন্ডল সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। 

এর আগে গত ৩ জুলাই কাউকে কিছু না জানিয়ে ফাতেমা বেগম তার ছেলে, মেয়ে,  নাতী ও নাতনীসহ মোট সাতজন বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে যান। তাদের গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাটে এবং অন্যান্য আত্মীয় স্বজনদের কাছে খোঁজ করেও তাদের কোনো সন্ধান না পেয়ে ফাতেমার স্বামী আব্দুর রহমান বগুড়া সদর থানায় সাধারণ ডায়রী করেন। পরে পিবিআই পুলিশ জিডির সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে।   পুলিশ পরিদর্শক জাহিদ হোসেন মন্ডল জানান, ফাতেমা ও রুমি বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানায় তাদের স্বামী বিভিন্ন সময়ে তাদেরকে আয় রোজগার নিয়ে কটু কথা শোনাতো। তাদেরকে স্বাবলম্বী হতেও দিত না। এছাড়াও তাদেরকে মাঝে মধ্যেই মানসিক নির্যাতন চালাতো। এ কারণে তারা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সকলের অগোচরে নিজেরা আয় রোজগার করে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য কাউকে কিছু না জানিয়ে রাঙামাটি জেলার বুড়িরহাট এলাকায় ফাতেমার নানার বাড়ীতে পালিয়ে যান। সেখানে কাজের সন্ধান করতে থাকেন। 

রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার মো. মীর আবু তৌহিদ বলেন, সম্প্রতি বগুড়া জেলায় যারা নিখোঁজ হয়েছিল তাদের রাঙামাটির পৃথক স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তারা নিজেদের আত্মীয় স্বজনের বাসায় ছিল। উদ্ধারের পর তারা বলেন পারিবারিক সমস্যার কারণে তারা ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। পরিবারে অশান্তি আর কলহের জের ধরে তারা কাউকে কিছু না বলে রাঙামাটিতে বসবাস করার উদ্দ্যেশে চলে এসেছে। তিনি আরও বলেন, উদ্ধার কৃত সাত জন স্বইচ্ছায় ঘর ছেড়েছে। তাদের কেউ অপহরণ কিংবা চাকরির প্রলোভন দেখায়নি। ডিবি পুলিশ সদস্যরা তাদের বগুড়া নিয়ে গেছে। আইন কার্যক্রম শেষে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল



এই পাতার আরো খবর