যশোরে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের পক্ষে ও বিপক্ষে বিক্ষোভ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় যশোর পলিটেকনিক কলেজের একদল শিক্ষার্থী কোটা সংস্কারের দাবিতে মিছিল সহকারে যশোর জেলা প্রশাসক অফিস চত্বরে পৌঁছালে সেখানে তাদের ওপর একদল যুবক লাঠি-সোটা নিয়ে হামলা করে। এতে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে তারা আবার সংগঠিত হয়ে যশোর প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। প্রায় এক ঘণ্টা তারা প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে মুজিব সড়ক অবরোধ করে নানা রকম স্লোগান দেন।
এদিকে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের বিপক্ষে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যশোর শহরের দড়াটানায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেন মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ লিবারেশন ফ্রন্টের (বিএলএফ) উপ অধিনায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলমের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
এ সময় রবিউল আলম বলেন, নতুন প্রজন্ম নিজেদের রাজাকার বলে স্লোগান দিচ্ছে, এটা ভয়ংকর এবং মুক্তিযুদ্ধের অবমাননাকর।
কোটা সংস্কার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তারা মেধার কথা বলে মিথ্যা প্রতিষ্ঠিত করতে চায়।
এদিকে, প্রায় একই সময়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে যশোর-খুলনা বাইপাস সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন যশোর মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। আধা ঘণ্টার এই বিক্ষোভ চলাকালে সড়কের দুই পাশে বিপুল সংখ্যক যানবাহন আটকা পড়ে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত