মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার পদ্মা নদীতে স্পিডবোট উল্টে উপজেলার চরজানাজাত নৌপুলিশ ফাঁড়ির মেজবাউদ্দিন (৫৬) নামে এক কনস্টেবলের সন্ধান মেলেনি এখনো।
গত শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে পদ্মা নদীর হাজরা চ্যানেলে ঢেউয়ের ধাক্কায় স্পিডবোট উল্টে যায়। এসময় বোটে নৌপুলিশের ৬ সদস্য ছিলেন।
স্পিডবোট উল্টে যাওয়ার পর একটি ট্রলার অন্যদের উদ্ধার করতে পারলেও মেজবাউদ্দিন পানিতে তলিয়ে যান। দুর্ঘটনার পর থেকে স্পিডবোট এবং কনস্টেবল মেজবাউদ্দিনের খোঁজ মেলেনি।
মেজবাউদ্দিন শিবচর উপজেলার চরজানাজাত নৌপুলিশ ফাঁড়িতে দায়িত্বরত ছিলেন। তার বাড়ি ঝালকাঠি জেলায়। চরজানাজাত নৌপুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সালাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, শুক্রবার বিকেলে ট্রলারযোগে যাত্রীরা পদ্মা নদী পার হচ্ছে-এমন খবর পেয়ে চরজানাজাত নৌপুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইলিয়াস, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সুমন, কনস্টেবল আতাউর রহমান, নূরে আলম, মাইনুল ও মেজবাউদ্দিনের সমন্বয়ে একটি টিম স্পিডবোট নিয়ে পদ্মায় টহলে যায়। নদীর হাজরা চ্যানেলে তীব্র স্রোত এবং ঢেউয়ের ধাক্কায় স্পিডবোটটি উল্টে ডুবে যায়। এসময় নদীতে থাকা একটি ট্রলার এগিয়ে এলে অন্যরা সাঁতরে ট্রলারে উঠতে পারলেও মেজবাউদ্দিন তলিয়ে যান। এ ছাড়া স্পিডবোটটিও স্রোতে তলিয়ে গেলে আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। শুক্রবার থেকেই কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ নদীর বিভিন্ন স্থানে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনার পরই আমরা পদ্মা নদীর বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করে যাচ্ছি। কিন্তু কোথাও তার মরদেহের সন্ধান মেলেনি।
চরজানাজাত নৌপুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান বলেন, তার কোনো খোঁজ এখনো মেলেনি। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই