ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

সিংড়ায় খাল পারাপারে ব্রিজ না থাকায় দুর্ভোগ, পাঠদান বন্ধ
নাটোর প্রতিনিধি:

নাটোরের সিংড়া পৌরসভার দক্ষিণ দমদমা ও উপজেলার চৌগ্রাম ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী জলারবাতা-বড়িয়া খাল পারাপারে কোন ব্রিজ নেই। জলারবাতা থেকে পমবড়িয়া ৩ কি.মি. কাঁচা রাস্তা থাকলেও খালের উপর কোন ব্রিজ না থাকায় প্রতি বর্ষায় চরম দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন স্থানীয় কাশফুল উলুম নেছারীয়া মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এছাড়া পমবড়িয়ার রাস্তা পাকাকরণ না হওয়ায় বিলের মাঠ থেকে ফসল ঘরে তুলতে বিপাকে পড়তে হয় স্থানীয় কৃষকদের। রাস্তা পাকাকরণসহ ব্রিজ নিমার্ণের দাবি ভুক্তভোগীদের।

জলারবাতা খালের পাশেই ২০১৯ সালে স্থাপিত হয় কাশফুল উলুম নেছারীয়া মাদ্রাসা। প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক ও অভিভাবকরা বলছেন, ব্রিজ না থাকায় বর্ষার ৩ থেকে ৪ মাস খাল পারাপারে চরম বিপাকে পড়েন শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একটি মাত্র পুরাতন ডিঙি নৌকায় পারাপার হচ্ছেন তারা। প্রবল বাতাসে নৌকাও ঠিক ঠাক মত চালাতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা। এ অবস্থায় নুরানী ক্লাসের শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসায় যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে নুরানী পাঠদান বন্ধ আছে দুই সপ্তাহ ধরে। ওই মাদ্রাসার শিক্ষক মুফতি আবু বকর ইবনে সানা, মুফতি জাকারিয়া মাসউদ ও মুফতি আবু সাঈদ জানান, বানের পানি বাড়ার সাথে সাথেই নুরারী ক্লাসের ছোট শিশুরা মাদ্রাসায় আসে না। এভাবে প্রতিবছরই বর্ষার কয়েক মাস এই ক্লাস বন্ধ রাখতে হয়। ব্রিজ নির্মাণের দাবি করেন শিক্ষকরা।

চৌগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম ভোলা জানান, পমবড়িয়া থেকে জলারবাতা দীর্ঘ দিনের কাঁচা রাস্তাটি পাকাকরণসহ ব্রিজ নির্মাণ করা হলে কৃষকের পাশাপাশি মাদ্রাসার ছাত্র শিক্ষকদের উপকার হবে। জনগুরুত্বর্পুণ রাস্তা পাকাকরণ ও ব্রিজ নির্মাণের দাবি করেন তিনি।

উপজেলা প্রকৌশলী আহমেদ রফিক বলেন, রাস্তাসহ জলারবাতা খালে ব্রিজ নির্মাণের জন্য স্থানীয় সাংসদ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি মহোদয়ের নির্দেশনা রয়েছে। চলনবিল প্রকল্প নামে একটি প্রকল্পের ডিপিপি তৈরীর জন্য তালিকা করছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি চলনবিল প্রকল্পে ব্রিজসহ রাস্তার তালিকা অর্ন্তভুক্ত করবো।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল



এই পাতার আরো খবর