ঢাকা, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

রাঙামাটিতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে মতবিনিময়
ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে মৎস্যজীবীদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছে রাঙামাটি জেলা মৎস্য অধিদপ্তর। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে রাঙামাটি জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মো. আব্দুর রহিম।

রাঙামাটি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অধীর চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে এতে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল  মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. আবদুল আল হাসান, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শেখ মো. এরশাদ বিন শহীদ উপস্থিত ছিলেন।

রাঙামাটি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অধীর চন্দ্র দাস বলেন, রাঙামাটিতে উপজেলা মৎস্য দপ্তরসমূহ ও প্রকল্পের সহায়তায় ২ হাজার ৩৩৫টি পুকুর ও ফ্রিক জলাশয়ে আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রযুক্তির মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন কার্যক্রম চলমান আছে। এ ছাড়া কাপ্তাই হ্রদের মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৎস্য সম্পদের টেকসই, সংরক্ষণ ও আহরণ ব্যবস্থাপনায় খাঁচায় মাছ চাষ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. আবদুল আল হাসান বলেন, পার্বত্যাঞ্চলের মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, আয় বৃদ্ধি এবং দারিদ্য হ্রাসকরণের লক্ষ্যকে সরকার প্রকল্প কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। তিন পার্বত্য জেলায় ১৪৯টি নতুন ক্রিক উন্নয়ন, ৭৩টি ক্রিক সংস্কার, ৩ হাজার ৯৮০ জন মৎস্যজীবীদের অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এ ছাড়া ৭৮টি মৎস্য প্রদর্শনী খামার স্থাপন করা হয়। শুধু তাই নয়, নিবন্ধিত ৭৭৫টি মৎস্যজীবী পরিবারকে বিকল্প কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে উপকরণ বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া ২টি মৎস্য অভয়াশ্রম স্থাপন এবং মাঠ পর্যায়ে গুণগত সেবা প্রদানের জন্য প্রকল্পাধীন সকল উপজেলায় ডিজিটাল যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়েছে। পোনা মাছের চাহিদা পূরণের জন্য ৩টি মৎস্যবীজ উৎপাদন খামারের সক্ষমতা বৃদ্ধিকল্পে সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে পার্বত্যাঞ্চলে মাছ চাষে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর