লালমনিরহাটে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এসময় ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরো এক মাস কারাদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত। বুধবার দুপুরে লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মিজানুর রহমান এ রায় দেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম জহুরুল ইসলাম। তিনি জেলার আদিতমারী উপজেলার টেপা পলাশী এলাকার মৃত জমসের আলীর ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২৬ বছর পূর্বে আসামি জহুরুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে হয় জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার উত্তর মুশরত মদাতির বাসিন্দা মুন্নুজান আরা ফেন্সির। বিয়ের কয়েক বছরের মধ্যে আসামি চার সন্তানের জনক জহুরুল ইসলাম তার জমিজমা বিক্রয় শেষে ১৪ বছর পূর্বে শশুর বাড়ি সংলগ্ন জমিতে বসবাস শুরু করে। এই অবস্থায় জহুরুল ইসলাম ও ফেন্সির মধ্যে প্রায়ই পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। আসামি জহুরুল তার স্ত্রীকে প্রায় মারপিট করতো বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২০২১ সালের ৬ জুন সকালে জহুরুল তার স্ত্রীকে গালিগালাজ করে। স্ত্রী নিষেধ করলে জহুরুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে নলকূপের লোহার হাতল দিয়ে স্ত্রী ফেন্সির মাথায় আঘাত করে। এতে গুরুতর আহত হয় ফেন্সি। খবর পেয়ে আহত ফেন্সিকে উদ্ধার করে প্রথমে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুন্নুজান আরা ফেন্সি মারা যায়। এ ঘটনায় ফেন্সির ভাই একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে চার্জশিট দাখিল করলে আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে আসামি জহুরুল ইসলামের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেয়।
লালমনিরহাট জেলা দায়রা ও জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আকমল হোসেন এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/এএম