ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া কমপ্লেক্সেসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে হামলা-ভাংচুরের প্রতিবাদে বরিশাল নগরে মানববন্ধন করেছে সাংবাদিকরা। বরিশাল সাংবাদিক সমাজের আয়োজনে বিকেল ৪টায় সদর রোডে নগরের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে এ মানববন্ধন হয়। মানববন্ধনে একাত্মা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সুজয় বিশ্বাস শুভ, ভূমিকা সরকারসহ ছাত্রসমাজ। 

সাংবাদিক সাইফুর রহমান মিরন ও মুশফিক সৌরভের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন টেলিভিশন মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির, বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি সুশান্ত ঘোষ, ৭১ টেলিভিশনের বরিশাল ব্যুরো প্রধান বিধান সরকার, কালেরকণ্ঠের বরিশাল ব্যুরো প্রধান রফিকুল ইসলাম, সময় টেলিভিশনের বরিশাল ব্যুরো প্রধান অপূর্ব অপু, বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল বিশ্বাস, ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন সুমন, বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মিথুন সাহা সিনিয়র সাংবাদিক কাওসার হোসেন রানা, সাইদ মেমন, শাহিন হাফিজ, মাইটিভির বরিশাল প্রতিনিধি পারভেজ রাসেল, কবি ও সাংবাদিক সৈয়দ মেহেদি হাসান, বরিশাল ফটো সাংবাদিক পরিষদের সভাপতি খান মনিরুজ্জামান, তরুণ সাংবাদিক ফোরাম বরিশালের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মজিবুর রহমান নাহিদ প্রমুখ। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা দেখেছি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে স্বৈরশাসকদের একটি পক্ষ গণমাধ্যমের বন্ধুদের উপর হামলা চালিয়েছে, সংবাদ প্রকাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। এরপর একটি আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আজ যখন দেশের মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে, তখন আবার একটি পক্ষ গণমাধ্যমের বন্ধুদের উপর হামলা চালাচ্ছে। শুধু গণমাধ্যমের বন্ধুদের নয়, এবার তারা গণমাধ্যমের প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর হামলা চালাচ্ছে। গনমাধ্যমের পাশে থাকা কথা জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন “প্রয়োজনে আপনাদের রক্ষায় বুক পেতে দিব”। তারা বলেন, বিগত দিনে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বা সাইবার নিরাপত্তা আইনের মতো কীভাবে কালো আইন করে সাংবাদিকদের কুণ্ঠ রোধ করে রাখার অপপ্রয়াস চালানো হয়েছে। আমরা অবিলম্বে এ আইন বাতিলের যেমন দাবি জানাচ্ছি, তেমনি গণমাধ্যম ও গণমাধ্যমের কর্মীদের ওপর প্রতিটি হামলার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া কমপ্লেক্সেসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে হামলা-ভাংচুরসহ গণমাধ্যম কর্মীদের উপর হামলার যে ঘটনা ঘটেছে। তার কোনটিতেই আমরা শিক্ষার্থী ভাইদের উপস্থিতি দেখতে পাইনি। যারা এ হামলা করছে তারা সমাজের দুর্বৃত্ত। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সুফলকে বাধাগ্রস্ত করতে এ হামলা কিনা সেটি খতিয়ে দেখার এখন সময় এসেছে। সেইসাথে এ সকল হামলার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও প্রয়োজন, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ধৃষ্টতা আর কেউ দেখাতে না পারে। বক্তারা বলেন, দুর্বৃত্তদের মনে রাখা উচিত বিগত দিনে সাগর-রুনি হত্যা থেকে গণমাধ্যমের কোন হামলার ঘটনাই আমরা ভুলিনি। আর এ হামলাও ভুলবো না, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত হামলার বিচার চেয়ে যাবো। হামলা করে আমাদের দমিয়ে রাখা যাবে না। মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন সহ-সভাপতি জুয়েল রানা, সাধারন সম্পাদক রাতুল আহমেদসহ বরিশাল নিউজ এডিটরস্ কাউন্সিল, বরিশাল অনলাইন প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ। 

বিডি প্রতিদিন/এএম