ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

টেকনাফে গভীর রাতে ডাকাতি, অপহরণ ২
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার মোছনী গ্রামে নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শিবিরের অভ্যন্তরে স্থানীয়দের বসতবাড়িতে গভীর রাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুইজনকে অপহরণ করা হয়েছে। বুধবার ভোররাতে এঘটনা ঘটে। ঘটনাটি সকালে এলাকায় জানাজানি হলে তাদের উদ্ধারে জনতা একত্রিত হলে রোহিঙ্গা শিবির থেকে ইটপাটকেল ও গুলি চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

এ ঘটনায় মোছনী এলাকা ও রোহিঙ্গা শিবিরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।  জানাযায়, বুধবার ভোররাতে টেকনাফের হ্নীলার মোছনী নয়াপাড়া নিবন্ধিত ক্যাম্পের অভ্যন্তরে বেক্কা মিয়ার ছেলে দুদু মিয়ার বসতবাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসময় বাডির কর্তা দুদু মিয়াসহ মহিলাদের এলোপাতাড়ি মারধর করে স্বর্ণালংকার ও নগট টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তার দুই ছেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তারা হচ্ছেন মোঃ তারেক (২২) ও মো. রাসেল (২০)। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে তাদের উদ্ধারে জনতা একত্রিত হলে রোহিঙ্গা শিবির থেকে ইটপাটকেল ও গুলি চালায় দুর্বৃত্তরা।

এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল ছুঁড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে রোহিঙ্গা দূর্বৃত্তরা এলাকাবাসীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। এসময় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকা এপিবিএন পুলিশও পাল্টা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ইটের আঘাতে মোছনী গ্রামের শাহরিয়ার নাফিস জয় ও লোকমান হাকিম নামে দুইজন আহত হয়েছে।  এদিকে সাড়ে ৫ লাখ টাকার মুক্তিপণে অপহৃত দুইজনকে সকাল ৭টারদিকে ছেড়ে দিয়েছে। তাদের অমানবিক শারিরীক নির্যাতন চালায়। পরে তাদেরকে এনজিও পরিচালিত একটি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়।

এদিকে, অপহরণ ও রোহিঙ্গা দুর্বৃত্তরা এলাকাবাসীর উপর গুলি ছোঁড়ার ঘটনায় উত্তেজিত জনতা কক্সবাজার টেকনাফ সড়ক অবরোধ করেছে। সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবস্থান করে শতশত জনতা। এই অবরোধ সকাল সাড়ে ৭টা থেকে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা চলে। এসময় শত শত যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা পর স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আলী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উত্তেজিত জনতাকে শান্তনা দিয়ে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করেন।

ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, কিছু স্বশস্ত্র দূর্বৃত্ত রোহিঙ্গা স্থানীয় দুইজনকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে এবং শারিরীক নির্যাতন চালায়। এ ঘটনায় স্থানীয় জনতা উত্তেজিত হয়ে সড়ক অবরোধ করে। তারা স্বসস্ত্র রোহিঙ্গাদের আটকের দাবী ও এালাকায় নিরাপত্তার দাবী জানান। মোছনী ক্যাম্পের ইনচার্জ হান্নান সরকার জানান, বর্তমানে ক্যাম্পের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। নিরাপত্তার জন্য এপিবিএন পুলিশ ক্যাম্পে টহলে রয়েছে।  টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আদনান চৌধুরী জানান, অপহরণ ও সড়ক অবরোধ বিষয়ে অবগত হয়েছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

বিডি প্রতিদিন/এএ



এই পাতার আরো খবর