বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও ছাত্র-জনতার উপর হামলার অভিযোগে বান্দরবান সদর থানায় দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

একটি মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লক্ষীপদ দাশসহ ২৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অপর মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ক্যশৈহ্লা মার্মাকে ১ নং আসামি করে আরও ২৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমি এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে মামলা দু’টি দায়ের করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শেষে মামলা দু’টি পাঠানো হয় বান্দরবান চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বরাবর।

মামলার বিবরণে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর ছাত্র-জনতার বিজয় মিছিলে হামলা সৃষ্টির দায়ে মামলা দায়ের করেন বিএনপি নেতা শহীদুল ইসলাম। 

এ মামলায় আসামিরা হলেন ১. ক্যশৈহ্লা মার্মা (সভাপতি, বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগ), ২. লক্ষীপদ দাশ (সাধারণ সম্পাদক, বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগ), ৩. অমল কান্তি দাশ (সভাপতি, বান্দরবান পৌর আওয়ামী লীগ), ৪. মোজাম্মেল হক বাহাদুর (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, জেলা আওয়ামী লীগ), ৫. সৌরভ দাশ শেখর (আওয়ামী লীগ নেতা), ৬. চৌধুরী প্রকাশ বড়ুয়া (সাবেক সভাপতি, জেলা যুবলীগ), ৭. মং ওয়াই চিং (সভাপতি, স্বেচ্ছাসেবকলীগ বান্দরবান), ৮. রাজু বড়ুয়া (সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগ), ৯. ফারুক আহমেদ ফাহিম (সাধারণ সম্পাদক, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ), ১০. উমর ফারুক (ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ), ১১. হাকিম (ওয়ার্ড যুবলীগ), ১২. আবু তৈয়ব চৌধুরী, ১৩. মোহাম্মদ আরিফ, ১৪. মো. তারেকুল ইসলাম, ১৫. সাদেক হোসেন চৌধুরী (সাবেক সভাপতি, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ), ১৬. বিমল কান্তি দাশ (ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা), ১৭. কেলু মং (সভাপতি, জেলা যুবলীগ), ১৮. আকাশ চৌধুরী (যুবলীগ নেতা), ১৯. অজিত কান্তি দাশ (সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা আওয়ামী লীগ), ২০. অং ছাইং উ পুলু মার্মা (সভাপতি, জেলা ছাত্রলীগ), ২১. সঞ্জয় দাশ (সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জেলা ছাত্রলীগ), ২২. আবু খায়ের আবু (ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা), ২৩. মো. আবুল কালাম (ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা), ২৪. আহম্মদ হোসেন আসিফ আকবর (সাধারণ সম্পাদক, সদর উপজেলা যুবলীগ), ২৫. টিপু দাশ (আহ্বায়ক, বান্দরবান কলেজ ছাত্রলীগ) এবং ২৬. আবুল খায়ের (৪৫)। মামলায় আরও ১০০/১৫০ অজ্ঞাতনামা আসামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

দ্বিতীয় মামলার বিবরণে বলা হয়, গত ১৬ জুলাই আন্দোলনরত বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে হামলার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন বিএনপি ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা মো. শামীম হোসেন। এ মামলায় ২৮ জনসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০০/১২০ জনকে আসামি হিসেবে দেখানো হয়েছে। 

আসামিরা হলেন ১. লক্ষীপদ দাশ (সাধারণ সম্পাদক, বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগ) ২. ক্যশৈহ্লা মার্মা (সভাপতি, বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগ), ৩. মোজাম্মেল হক বাহাদুর (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, জেলা আওয়ামী লীগ), ৪. অমল কান্তি দাশ (সভাপতি বান্দরবান পৌর আওয়ামী লীগ), ৫. সৌরভ দাশ শেখর (আওয়ামী লীগ নেতা), ৬. চৌধুরী প্রকাশ বড়ুয়া (সাবেক সভাপতি, জেলা যুবলীগ), ৭. রাজু বড়ুয়া (সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগ), ৮. ফারুক আহমেদ ফাহিম (সাধারণ সম্পাদক, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ), ৯. উমর ফারুক (ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা), ১০. হাকিম (ওয়ার্ড যুবলীগ), ১১. আবু তৈয়ব চৌধুরী, ১২. মোহাম্মদ আরিফ, ১৩. মো. তারেকুল ইসলাম, ১৪. কাঞ্চন তংঞ্চঙ্গ্যা (জেলা আওয়ামী লীগ), ১৫. রাশেদ চৌধুরী (সাবেক সভাপতি, বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগ), ১৬. অজিত কান্তি দাশ (সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা আওয়ামী লীগ), ১৭. মো. মহিউদ্দিন (সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগ), ১৮. আকাশ চৌধুরী (যুবলীগ নেতা), ১৯. সাদ্দাম হোসেন (সাধারণ সম্পাদক, জেলা ছাত্রলীগ), ২০. উমর ফারুক (সাধারণ সম্পাদক, জেলা যুবলীগ), ২১. রফিকুল ইসলাম (সভাপতি, শ্রমিকলীগ), ২২. আলমগীর ড্রাইভার (ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা), ২৩. নুর মোহাম্মদ কালু, ২৪. মোহাম্মদ নুরু, ২৫. মো. হানিফ, ২৬. আক্কাস আলী, ২৭. আবু তাহের ওরফে মুরগী তাহের (ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ) এবং ২৮. মো. ইসমাইল (২৫)।

বান্দরবান সদর থানার ওসি আবদুল জলিল জানান, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত