গণ-অভ্যুত্থানের পর বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি, ভাঙচুর, দখলদারিত্ব এবং হয়রানি প্রতিরোধে সামাজিক উদ্যোগের জন্য স্মারকলিপি দিয়েছেন বাম গণতান্ত্রিক জোট ও ফ্যাসিবাদ বিরোধী বাম মোর্চা, দিনাজপুর শাখার নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ এর কাছে এই স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।
তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার দেশে একটি জবাবদিহিতামূলক বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন- যা সমগ্র জাতির প্রত্যাশা। একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ও সমাজ বিনির্মান মুক্তিযুদ্ধের চেতনারও অন্যতম ভিত্তি। বৈষম্যহীন ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সংগঠিত গণঅভ্যুত্থানে সহস্রাধিক ছাত্র জনতার জীবন দান এবং হাজার হাজার ছাত্র জনতার আহত ও পঙ্গুত্ব জীবনের বিনিময়ে সমগ্র জাতিকে তারা দায়বদ্ধ করেছেন। কিন্তু আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি জেলার বিভিন্ন স্থানে কিছু সুযোগ সন্ধানী গোষ্ঠী ও সন্ত্রাসী দুর্বৃত্তরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অবকাঠামোসহ ব্যবসায়ীদের উপর অবৈধ ক্ষমতা প্রয়োগ করে সন্ত্রাস, ভাঙচুর, দখলদারিত্ব ও চাঁদাবাজি চালাচ্ছে। যা আমাদের সমগ্র অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে এবং জনগণের মধ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। তাই, আমরা বাম গণতান্ত্রিক জোট ও ফ্যাসিবাদ বিরোধী বাম মোর্চা দিনাজপুর জেলা কমিটি জেলায় সকল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কঠোর হস্তে দমনে করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উদ্যোগ গ্রহণ করার আহবান জানাচ্ছি।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী কমিউনিস্টলীগের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মোশাররফ হোসেন নান্নু, দিনাজপুর জেলা সিপিবি সভাপতি এড. মেহেরুল ইসলাম, জেলা বাসদ এর আহবায়ক কিবরিয়া হোসেন, বাসদ (মাহবুব) এর আহবায়ক সন্তোষ গুপ্ত, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক এএসএম মনিরুজ্জামান প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/এএ