ঢাকা, বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ফেনীর বন্যা পরিস্থিতি: এখনও পানিবন্দি ৮০ শতাংশ মানুষ
ফেনী প্রতিনিধি

ফেনীর বন্যা পরিস্থিতির কোথাও উন্নতি হচ্ছে আবার কোথাও অবনতি ঘটেছে। পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়ায় পানি নামতে শুরু করেছে। জেলা শহরের প্রধান সড়কগুলো থেকে পানি কিছুটা নেমে গেছে। এদিকে উজান থেকে পানি আসা অব্যাহত থাকায় দাগনভূঞা ও সোনাগাজী উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটেছে। পানি ফুলেফেঁপে একের পর এক এলাকা প্লাবিত করছে। পুরো জেলার ৮০ শতাংশ মানুষ পানিবন্দি আছে বলে জানাগেছে। 

স্থায়ী আশ্রয়নকেন্দ্র ছাড়াও স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, বহুতল ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনায় বানভাসি মানুষের তিলধারণের ঠাই নেই। এখনও মানুষ ছুটছে নিরাপদ আশ্রয়ে। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীদের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলা থেকেও শতশত স্বেচ্ছাসেবী অংশ নিচ্ছে উদ্ধার তৎপরতায়। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীও উদ্ধার কাজের জন্য ১০টি বিশেষায়িত হেলিকপ্টার নিয়োজিত করেছে। উদ্ধারের পাশাপাশি চলছে ত্রাণ কার্যক্রম। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ত্রাণ বিতরণ করছেন।

এদিকে ফেনীতে দেখা দিয়েছে তীব্র বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকট। চারদিকে পানি ও খাদ্যের জন্য হাহাকার। বিশেষ করে শহরের কিছু এলাকা থেকে পানি কমলেও বিভিন্ন ঘরবাড়ি এখন পানিতে তলিয়ে আছে। 

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর লালপুল থেকে ফাজিলপুর পর্যন্ত এখনও রয়েছে কোমর পানি। মহাসড়কে তৃতীয় দিনের মতো যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। রেললাইন তলিয়ে থাকায় বন্ধ রয়েছে তৃতীয় দিনের মতো রেল চলাচল। মহাসড়কের লেমুয়া ব্রিজ ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানা গেছে। যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। 

পরশুরাম ও ফুলগাজী থেকে পানি অনেকটাই নেমে গেছে। শহরের প্রধান সড়কগুলো এখনও বুক ও হাঁটু পানির নিচে। পানিবন্দি মানুষগুলো এখন বাসাবাড়ি থেকে কেউ বের হতে পারছে না। 

গত চারদিন ধরে ফেনীতে নেই মোবাইল নেটওয়ার্ক। মাঝেমধ্যে শহরে কিছু মোবাইল নেটওয়ার্ক পাওয়া গেলেও সারা জেলায় নেই মোবাইল নেটওয়ার্ক। প্রায় পুরো জেলায় নেই বিদ্যুৎ সংযোগ। শহরের মহিপাল ছাড়া অন্য কোথায় বিদ্যুৎ না থাকায় বহুতল ভবনের বাসিন্দারা পড়েছে মহাবিপদে। যাদের পক্ষে সম্ভব হয়েছে তারা যে যার মতো করে স্থান ত্যাগ করছেন।

 

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল



এই পাতার আরো খবর