ঢাকা, বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

হবিগঞ্জে কমছে বন্যার পানি, ভেসে উঠছে ক্ষতচিহ্ন
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

হবিগঞ্জে জেলায় কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি। ইতোমধ্যে অনেক বাসা-বাড়ি ও সড়ক থেকে বন্যার পানি নেমে গেছে। বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে নদ-নদীর পানি। বন্যার পানি কমে যাওয়ায় অনেক লোকজন তাদের বাড়ি ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। তবে বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় ভেসে উঠছে সড়ক, বাড়ি ঘরসহ নানা স্থাপনার ক্ষত চিহ্ন। 

হবিগঞ্জ জেলায় বড় ধরনের বন্যার আগ্রাসন না হলেও যেসব নিন্মাঞ্চলে পানি উঠেছে সেইসব অঞ্চল থেকে পানি নেমে যাওয়ায় সড়কে দেখা দিয়েছে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে গর্তের। এছাড়াও বাড়ি ঘরের সামনে লেগে আছে কাঁদাসহ ময়লা আবর্জনা। 

সবশেষে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, জেলায় এ পর্যন্ত ৬টি উপজেলার মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। বন্যায় আক্রান্ত হওয়া উপজেলাগুলো হলো- চুনারুঘাট উপজেলা, মাধবপুর উপজেলা, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা, হবিগঞ্জ সদর, নবীগঞ্জ ও বাহুবল উপজেলা। এসব উপজেলায় মোট ৩০টি ইউনিয়নের ১৭ হাজার ৬৮৫টি পরিবার বন্যার পানিতে আক্রান্ত হয়েছে।  আর এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৭০ হাজার ২৪০ জন মানুষ। 

দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সুমি রানি বল। তিনি জানান, বর্তমানে বন্যা দুর্গতের জন্য চালু রয়েছে ৮টি কেন্দ্র। আশ্রয় কেন্দ্রেগুলোর মধ্যে ৪৫৮ জন পুরুষ, ৪৬৭ জন মহিলা, ১১৮ জন শিশু ও ২ জন প্রতিবন্দী আশ্রয় নিয়েছেন। 

এদিকে, রবিবার দুপুর পর্যন্ত চুনারুঘাট উপজেলায় খোয়াই নদীর বাল্লা পয়েন্টে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার, শায়েস্তাগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৪৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। হবিগঞ্জ সদর উপজেলার মাছুলিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ২৫৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও কুশিয়ারা নদীর শেরপুর পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার, বানিয়াচং মার্কুলি পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার এবং আজমিরীগঞ্জের কালনী নদীতে ২৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। 

শহরতলীর নোয়াগাও এলাকায় বাড়ি ঘরে চলে যাওয়া লোকজনের সাথে আলাপ হলে তারা জানান, আমাদের বাড়ি ঘর থেকে পানি নেমে গেলেও এখনই আমরা বাড়িতে বসবাস শুরু করতে পারছি না। যে কারণে আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছি। তবে বাড়ি ঘর পরিস্কারের জন্য আমরা এসেছি। পুরো ঘর বাড়ি কাঁদা ও ময়লা আবর্জনায় ভরে গেছে। তা পরিস্কার করতে হবে। তারা বলেন, বাড়িতে যেসব মালামাল রয়ে গেছিল তা সেইসব মালামাল পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়াও সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। 

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত



এই পাতার আরো খবর