ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

কসবায় নববধূর লাশ উদ্ধার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সানজিদা আক্তার (২০) নামে এক নববধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার সকালে উপজেলার কুটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। সানজিদা আক্তার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার জামতলী গ্রামের মোরশেদ আলমের মেয়ে। সে অন্তঃসত্ত্বা ছিলো বলে জানায় নিহতের মা রুনা আক্তার। 

সানজিদার পরিবারের দাবী, যৌতুকের জন্য তাদের মেয়েকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার বলে ছড়ানো হচ্ছে। নিহত সানজিদার বাবা মোরশেদ আলম জানান, প্রায় তিন মাস আগে পারিবারিক ভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার কসবা উপজেলার কুটি গ্রামের হেবজু মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম রকির সাথে বিয়ে হয় সানজিদার। বিয়ের সময় ছেলে পক্ষের কোনো চাহিদা না থাকলেও বিয়ের পর থেকে ছেলের পরিবার যৌতুকের জন্য মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে। যৌতুক দাবীর বিষয়টি বাবা-মাকে জানালে মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে ছেলের মায়ের চাহিদা অনুযায়ী দিতে রাজি হন তারা। তবে যৌতুকের দাবীকৃত মালামাল দেয়ার জন্য সময় চান তিন মাস। এত সময় চাওয়ার কারনে শাশুড়ী, দেবর ও ননদের মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার বাড়তে থাকে। বৃহস্পতিবার মাকে ও বোনকে বিষয়গুলো জানায় সানজিদা। কিন্তু গতকাল সকালে সানজিদার মৃত্যুর খবর শাশুড়ী রিনা আক্তার সানজিদার খালু (ঘটক) একই উপজেলার বিষ্ণুপুর  গ্রামের ইব্রাহিম মিয়াকে জানায়। সকাল ১০টার দিকে ইব্রাহিম মিয়া তাদেরকে ফোনে তার মেয়ের মৃত্যুর খবরটি জানান। খবর পেয়ে ছুটে আসে সানজিদার পরিবার। বিয়ের তিন মাসের মধ্যেই যৌতুকের নির্মমতার বলী হতে হলো সানজিদা আক্তারকে এমনটাই দাবী বাবা-মায়ের। সানজিদার মা রুনা আক্তার জানান, মেয়ে বিয়ে দিলাম তিন মাসও হলোনা। এরই মধ্যে আমার অন্তঃসত্তা  মেয়েটাকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে শশুর বাড়ির লোকজন। সানজিদার শাশুড়ী রিনা বেগম যৌতুকের জন্য নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি জানান, সানজিদা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদ জানান, লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

বিডি প্রতিদিন/এএম



এই পাতার আরো খবর