ঢাকা, বুধবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

কুতুবদিয়ায় ঘাট পারাপারে নৈরাজ্য, ইউএনও অফিস ঘেরাও
কুতুবদিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

কুতুবদিয়ায় ঘাট পারাপারে নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানির প্রতিবাদে মিছিল নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মঈনুল হোসেন চৌধুরীর কার্যালয় ঘেরাও করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ মঙ্গলবার সকালে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যয়নরত ছাত্ররা এ আন্দোলনে অংশ নেন। বেলা ১২ টায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দদের সাথে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মঈনুল হোসেন চৌধুরীর বৈঠক করেন। 

ছাত্রদের দাবিগুলো হলো, ঘাটে একটি টিকিটের মাধ্যমে কুতুবদিয়া মগনামা পারাপারের ব্যবস্থা চালু করতে হবে। জেটি ভাড়ার নামে দুইদিকে অতিরিক্ত টাকা বাদ দিতে হবে। তাছাড়াও ঘাটের সকল কর্মকাণ্ড সার্বক্ষণিকভাবে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতাভুক্ত করতে হবে। প্রত্যেক ড্যানিস ও স্পিড বোটের নাম্বারসহ চালকদের ছবি সংবলিত পরিচয়পত্র থাকতে হবে। কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর মাধ্যমে তদারকি করতে হবে। ঘাট ইজারাদারদের ছবিসহ কতৃপক্ষের নির্ধারিত পণ্যসামগ্রীর মূল্য তালিকা প্রকাশ করতে হবে ও মালামাল বহনকারী যাত্রীদের রশিদ প্রদান করতে হবে। মূল্য তালিকা সকল জেটিতে নির্দিষ্ট স্থানে জনগণের দৃষ্টিগোচর হয়, এমন জায়গায় টাঙিয়ে রাখতে হবে। গাম বোট ভাড়া জনপ্রতি ২৫ টাকা এবং স্পিড বোট ভাড়া ৭০ টাকা করতে হবে ও প্রতি ৩০ মিনিট পরপর বোট অবশ্যই ছাড়তে হবে। জ্বালানির দাম হ্রাস-বৃদ্ধির সাথে ভাড়া সমন্বয় করতে হবে। গাম বোটে ৪০জন ও স্পিডবোটে ধারণ ক্ষমতার বেশী যাত্রী নেওয়া যাবে না। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৬ টা থেকে শুরু করে রাত ১০টা পর্যন্ত সার্বক্ষণিক বোট চালু রাখতে হবে। প্রতিটি বোটে  সবার জন্য লাইফ জ্যাকেটসহ অন্যান্য নিরাপত্তা সামগ্রী রাখতে হবে। ফিটনেসবিহীন বোট নৌপথ থেকে তুলে ফেলতে হবে এবং ঘাটের যাত্রী ছাউনি ও গণশৌচাগার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। মালামাল রাখার নির্দিষ্ট প্লাটফর্ম ছাড়া অন্য কোথাও মালামাল রাখা যাবে না। রাতের বেলা ঘাটে পর্যাপ্ত লাইটের ব্যবস্থা করতে হবে। রোগী এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করতে হবে। ব্যবসায়ী, প্রবাসী এবং বরযাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়ার নামে হয়রানি বন্ধ করতে হবে। ঘাটের সাথে সংশ্লিষ্ট লোকদের আচরণ মার্জিত করতে হবে। আগামী বছর থেকে ইজারা প্রথা বন্ধের সকল ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষকে (প্রশাসনকে) গ্রহণ করার দাবি জানানো হয়। 

তাদের দাবির প্রেক্ষিতে কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মঈনুল হোসেন চৌধুরী বলেন, চার ঘণ্টাব্যাপী ছাত্রদের সাথে আলোচনা করা হয়। কিন্তু বিষয়টি সম্পূর্ণ জেলা প্রশাসকের, সেহেতু ছাত্রদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সমাধান করার জন্য বলা হয়েছে। 

এদিকে, ছাত্রদের দাবি মানা না হওয়ায় আগামী রবিবার কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধনের ডাক দেন।

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল



এই পাতার আরো খবর