কুমিল্লার উত্তর অংশের পর এবার দক্ষিণে যাচ্ছে সরকারি-বেসরকারি সহায়তা। গত তিন দিন থেকে এই সহায়তার পরিমাণ বেড়েছে। এতে দুর্গতের মুখে হাসি ফুটছে।
সূত্রমতে, বুড়বুড়িয়ায় গোমতী নদীর বাঁধ ভাঙার পর প্লাবিত হয় বুড়িচং উপজেলা। উপজেলাটি কুমিল্লা শহর ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক লাগোয়া হওয়ায় সেখানে সহায়তায় ঢল নামে। প্রথম দিকে ওই উপজেলার ভরাসার, ইছাপুরা ও খাড়াতাইয়া এলাকায় বেশি সহায়তা দেয় হয়। শেষ দিকে দুর্গম এলাকায় সহায়তা পৌঁছে। এদিকে বুড়িচং উপজেলার পর আদর্শ সদর, ব্রাহ্মণপাড়া ও দেবিদ্বারের বিভিন্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়। ব্রাহ্মণপাড়া ও দেবিদ্বারে তেমন সহায়তা যায়নি। এদিকে জেলার দক্ষিণের লাকসাম, চৌদ্দগ্রাম, মনোহরগঞ্জ ও নাঙ্গলকোট উপজেলাও প্লাবিত হয়। এখানে পানিবন্দি হয়ে পড়েন কয়েক লাখ মানুষ। তবে দূরের দুর্গম পথ হওয়ায় প্রথম দিকে সেখানে তেমন সহায়তা যায়নি। শুক্রবার লাকসাম ও মনোহরগঞ্জের বিভিন্ন গ্রামে কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে কাজ করতে দেখা গেছে।
লাকসাম উপজেলার মনপাল গ্রামের হোসেন মিয়া বলেন, দিনমজুরের কাজ করি। এখন কোন আয় নেই। পুরো গ্রাম পানিতে ডুবে গেছে। ঘরে পানি উঠেছে। কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। পরিবার চৌকির ওপর আশ্রয় নিয়েছে। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটিয়েছি। এখন কিছু সহায়তা পাচ্ছি।
মনোহরগঞ্জ উপজেলার বড় কেশতলা গ্রামের আবুল বাশার বলেন,আমাদের এলাকার অধিকাংশ বাড়ি পানির নিচে। এখানে কেউ সহায়তা দেয়নি। কাল আসবে বলে একটি সংগঠন জানিয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক আইউব মাহমুদ বলেন, লাকসাম,চৌদ্দগ্রাম ও নাঙ্গলকোটের দুর্গম এলাকায় তেমন সহায়তা যায়নি বলে স্থানীয় সূত্রে জেনেছি। সেখানে আমরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে সহায়তা দেয়ার চেষ্টা করেছি।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল