বরিশালের উচ্চমূল্যের ফসলের পরীক্ষিত প্রযুক্তিসমূহ সনাক্তকরণ, অগ্রাধিকার, নির্বাচন এবং অগ্রগতি পর্যালোচনা শীর্ষক কর্মশালা হয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) বীজ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বরিশালের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে সোমবার এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের হল রুমে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্মলহোল্ডার এগ্রিকালচারাল কম্পিটিটিভনেস প্রকল্পের (এসএসিপি) প্রকল্পের কম্পোনেন্ট কো-অডিনেটর ড. পরিমল চন্দ্র সরকার, আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার এবং পটুয়াখালীর আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত¡ গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম কিবরিয়া। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বিমল চন্দ্র কুন্ডু। বারির বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যানোর মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিএই ঝালকাঠির উপ-পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম, পটুয়াখালীর উপপরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, বরিশালের উপ-পরিচালক মো. মুরাদুল হাসান, পিরোজপুরের উপপরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, বারির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. রফিকুল ইসলাম, আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার মো. শাহাদত হোসেন, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উপপরিচালক এস এম মাহবুব আলম, ভোলার বারির সরেজমিন গবেষণা বিভাগের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা গাজী নাজমুল হাসান, কলাপাড়ার কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. মশিউর রহমান, চরফ্যাশনের কৃষি উদ্যোক্তা আকতার মহাজন প্রমুখ। কর্মশালায় কৃষি সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, কৃষক এবং কৃষি উদ্যোক্তা মিলে ৮০ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে চাহিদাভিত্তিক ফসল উৎপাদন করে কৃষকের আয় বাড়ানো এবং তাদের জীবনমান উন্নয়ন করাই এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। আর তা বাস্তবায়নে চাই ভালো বীজ, উন্নত প্রযুক্তি আর সঠিক সময়ে উপযুক্ত ফসল নির্বাচন করা। এর মাধ্যমেই পুষ্টিনিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। দেশ হবে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
বিডি প্রতিদিন/এএম