ঢাকা, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

বরিশালে মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ককে কুপিয়ে জখম, প্রতিবাদে মানববন্ধন
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বরিশাল নগরীর বঙ্গবন্ধু কলোনীতে মহানগর মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়কসহ তিনজনকে কুপিয়ে জখমের প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মহানগর মৎস্যজীবী দলের উদ্যোগের নগরীর সদর রোড অশ্বিনী কুমার হলের সামনে মানববন্ধন করা হয়। 

এর আগে বুধবার রাতে নগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে তিনজনকে কুপিয়ে গুরুতর ভাবে জখম করা হয়। তারা হলো-বরিশাল মহানগর মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহবায়ক ও বঙ্গবন্ধু কলোনীর বাসিন্দা মো. ফেরদৌস, মো. তানজিল ও মো. সুমন। তাদের মধ্যে ফেরদৌস ও তানজিলের দুই হাতের রগ কর্তন করা হয়েছে। 

বরিশাল মহানগর মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক সাইদুর রহমান মিলন বলেন, বঙ্গবন্ধু কলোনীর বাসিন্দা কথিত ছাত্রলীগ নেতা আল-আমিনের নেতৃত্বে একটি পক্ষ মাদক ব্যবসাসহ নানা অনৈতিক কর্মকান্ড করে। গত ৫ আগষ্টের পর এসব কর্মকান্ড প্রতিরোধের চেষ্টা করে মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহবায়ক ফেরদৌস হাওলাদারসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে বিগত সময়ে বেশ কয়েকবার মারামারি হয়েছে। মারামারি ও সংঘর্ষের ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় মামলাও হয়।  মিলন বলেন, বুধবার মামলার তদন্তে পুলিশ যায়। সেখানে ফেরদৌসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলো। নগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ নেতা মজিবর কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠ অনুসারী কথিত ছাত্রলী নেতা আল-আমিনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে ধাওয়া দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে গেলে সন্ত্রাসীরা ফেরদৌসসহ চারজনকে নৃশংসভাবে কুপিয়েছে। আহতদের প্রথমে বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তাদের অবস্থা আশংকাজনক।  মিলন জানান, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের বিচার দাবিতে বিকেলে অশ্বিনী কুমার হলের সামনে মানববন্ধন করা হয়েছে। মানববন্ধনে তিনি সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য রাখেন মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব কামাল সিকদার, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আব্দুস সালাম, যুগ্ম আহবায়ক আলমগীর হোসেন ও সাবেক ছাত্রনেতা আতিকুর রহমান মিলন। মানববন্ধনে জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দেয়া না হলের কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেয়া হয়েছে। 

কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু কলোনীতে তদন্ত যাওয়ার পর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হামলার শিকারদের উদ্ধার করতে গিয়ে থানার এসআই রাহাতুল ইসলাম একটু আহত হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি। অভিযোগ পেলে মামলা রুজু করা হবে। জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

বিডি প্রতিদিন/এএম



এই পাতার আরো খবর