কক্সবাজার সদরে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসীকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার রাত ৩টার দিকে সদরের পিএমখালি ইউনিয়ন থেকে তাদের গ্রেফতার করে।
জানা যায়, গোপন সূত্রের ভিত্তিতে ১০ পদাতিক ডিভিশনের ২ পদাতিক ব্রিগেড এর ৯ ইস্ট বেংগল কর্তৃক পরিচালিত সেনাবাহিনী, ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি এর সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালি ইউনিয়নে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য দুটি বাড়ি ঘেরাও করে। এ অভিযানে উক্ত টিমের বিচক্ষণতা এবং সময়োপযোগী সঠিক সিদ্ধান্তের কারণে উক্ত স্থান হতে কোন সন্ত্রাসী পালাতে ব্যর্থ হয়। অতঃপর বাড়ি দুটি তল্লাশি করে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ দেশি এবং বিদেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাওয়া যায়।
তল্লাশিকৃত বাড়ি দুটি হতে ৩টি এক নলা বন্দুক, ২টি এলজি, ২টি ৯-এমএম পিস্তল, ৩টি পিস্তল ম্যাগাজিন, ৯ রাউন্ড পিস্তল এমো, ৩৯টি কার্তুজ, ৫টি দা, ১টি চেইন, ১টি চাইনিজ কুড়াল ও ২টি কিরিচ উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও ঘটনাস্থল হতে অস্ত্রের সাথে সম্পৃক্ত ৮ জন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া শেষে আসামিদেরকে পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয় এবং পরবর্তীতে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
আটক আসামিরা হলেন কলিম উল্লাহ (৩৪), মো. খোরশেদ আলম (৩৭), মো. হাসান শরীফ লাদেন (২০), মো. শাহিন (২৩), মো. মিজান (২০), আব্দুল মালেক (৪৮), আব্দুল হাই (২৪) এবং আব্দুল আজিজ (২৫)।
এছাড়াও জানা যায়, উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলো ব্যবহার করে আটক ব্যক্তিরা বিগত কয়েক বছর ধরে তাদের নিজ এবং আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় নাশকতামূলক সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল। যৌথ বাহিনীর এই অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। উক্ত অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
বিডি প্রতিদিন/এএ