গাজীপুরের শ্রীপুরে আলহাজ্ব উমেদ আলী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ময়লা ফেলে পরিবেশ দূষণ এবং বিদ্যালয়ের জমি দখল চেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় শ্রীপুর পৌরসভার ১ নম্বর সিএন্ডবি বাজারের পূর্ব পাশে বিদ্যালয়ের সামনে তারা এ মানববন্ধন করেন।
বিদ্যালয়ের সামনে ময়লার দুর্গন্ধে নাক চেপে রাস্তায় চলাচল করতে হচ্ছে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর। স্থানীয় সোহাগ মিয়া বিদ্যালয়ের পতিত জমিতে দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা ফেলে জমি জবর দখলের চেষ্টা করে আসছে বলে অভিযোগ করেন তারা। নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা আবর্জনার ডাস্টবিন তৈরি করে সেখানে ময়লা ফেলার দাবিও জানান তারা শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা।
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মুফতি মাওলানা ফরহাদ হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের রাস্তার পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলা মোটেই ঠিক হচ্ছে না। আমরা না করা সত্ত্বেও দিনের বেলায় না ফেলে রাতের অন্ধকারে ময়লা ফেলে যায়। এতে ময়লার দুর্গন্ধে নিঃশ্বাস নিয়ে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে মন চায় না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সাঈদ বলেন, শ্রেণি কক্ষের দরজা-জানালা বন্ধ করে ক্লাস করাতে হয়। গরমে দুর্গন্ধ এত বেশি তীব্র হয় যে বিদ্যালয়ে বসে থাকা যায় না। শ্রেণি কক্ষের দরজা-জানালা বন্ধ করলেও দুর্গন্ধ আসে। শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে এ স্থানে ময়লা-আবর্জনা না ফেলার দাবি জানান এবং স্কুলের জমি দখল চেষ্টার প্রতিবাদ করেন তিনি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সোহাগ মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ময়লার উপরে বালি ফেলে দেব যেন দুর্গন্ধ না ছড়ায় এবং জমি মেপে বুঝিয়ে দিলে আমি আমার জমিটুকুই ভোগদখলে রাখবো।
শ্রীপুর পৌরসভার সচিব রফিকুল ইসলাম বলেন, সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করতে যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধ করতে হবে। বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের পাশে যেন ময়লা আবর্জনা না ফেলে, এজন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রনয় ভূষণ দাস বলেন, ময়লার দুর্গন্ধে মানুষের রোগব্যাধিসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা হতে পারে। শিশু-কিশোরদের ডায়রিয়া, টাইফয়েড, আমাশয়সহ বিভিন্ন রোগ ছড়াতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই