নীলফামারীতে সাবেক সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর ও আফতাব উদ্দিন সরকার এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হকসহ ৬০ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা হয়েছে।
গতকাল নীলফামারী আমলী আদালত-১ এ বাদীয় হয়ে মামলাটি করে জেলা শহরের কুখাপাড়া এলাকার বাসিন্দা বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের(বিএমআই) শিক্ষার্থী সৌমিক হাসান সোহান।
মামলায় অজ্ঞাত আরো অন্তত ৩’শ জনকে আসামি করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে নীলফামারী থানায় নথিভুক্ত করণের নির্দেশ দিয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ৪ আগষ্ট জেলা শহরের চৌরঙ্গি মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন দমাতে দুই সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, পিস্তল, লাঠি সোডা, ছোড়া, রামদা, বেকি, রড হকস্টিক ব্যবহার করে আক্রমণ চালায় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা।
এছাড়া পুলিশের ওসি তানভীরুল ইসলাম ও উপ-পরিদর্শক রনি কুমার পাল রাবার বুলেট, টিয়ার সেল, সাউন্ড গ্রেনেডসহ বিভিন্ন অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে ছাত্র-জনতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলিবর্ষণ চালায়। এতে শতাধিক ব্যক্তি আহত হন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নীলফামারী থানার পরিদর্শক(তদন্ত) আবু সাঈদ বলে আদালত থেকে এফআইআর’র জন্য এসেছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন