ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পরিত্যক্ত কূপের লিকেজ থেকে উদগিরিত হওয়া গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার বন্ধে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে তিতাস নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে উদগিরিত স্থানে বসানো ২১টি গ্যাস সংযোগ ড্রাম জব্দ করা হয় এবং প্রায় ৭ হাজার মিটার অনিরাপদ প্লাস্টিক পাইপও জব্দ করা হয়। এসময় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম শেখ, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিএফসিএল) জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) আশরাফুল আলমসহ প্রশাসন ও গ্যাস ফিল্ডসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম শেখ জানান, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডসের পরিত্যক্ত ৩নং কূপের লিকেজ থেকে বিভিন্ন স্থানে গ্যাস বের হচ্ছে। একটি অবৈধ চক্র দীর্ঘদিন ধরে এই গ্যাস অনিরাপদভাবে সংগ্রহ করে বিভিন্ন বাসাবাড়ি ও কারখানায় সরবরাহ করছিল। খবর পেয়ে উদগিরিত গ্যাসের মূল পয়েন্ট কেটে দেওয়া হয়েছে। এর সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিএফসিএল) জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) আশরাফুল আলম জানান, পরিত্যক্ত কূপ থেকে উদগিরিত গ্যাসের চাপ কমে আসায় ঝুঁকির পরিমাণও কমে এসেছে। এসব গ্যাস একসময় কমে যাবে। বাণিজ্যিকভাবে এগুলো ব্যবহার বৈধ নয়। তবুও যেকোনো দুর্ঘটনা এড়াতে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডের পক্ষ থেকে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। অভিযান চালিয়ে অবৈধ সংযোগগুলো বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গ্যাসের উদগিরণ বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়ে ২০০৮ সালে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড তাদের ৩নং কূপটি বন্ধ করে দেয়। সে সময় থেকে এখনো পর্যন্ত নদীর পাড়, নলকূপ, জমির আইল এবং বাসাবাড়ির বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে গ্যাস উদগীরণ হচ্ছে। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র প্লাস্টিকের পাইপের মাধ্যমে স্থানীয় বাসাবাড়ি এবং বাণিজ্যিক কারখানায় গ্যাস সরবরাহ করে আসছে। বেশ কয়েকটি চুন ও চুঁড়ি তৈরির কারখানায় গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল