ঢাকা, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

২৫০ টন চাল আত্মসাৎ, অভিযান চালাতেই লাপাত্তা গুদাম কর্মকর্তা
লালমনিরহাট প্রতিনিধি

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় সরকারি ২৫০ টন চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা ফেরদৌস আলমের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে অভিযান চালিয়ে আত্মসাৎ করা ৩০ টন চাল উদ্ধার করা হয়েছে। ওই অভিযানের পর থেকে অভিযুক্ত গুদাম কর্মকর্তা ফেরদৌস আলমের কোনো খোঁজ মিলছে না। ঘটনার তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন জেলা প্রশাসক।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মোট ২৫০ টন চাল আত্মসাৎ করেছেন কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়নের খাদ্য পরিদর্শক (ওসি এলএসডি) ফেরদৌস আলম। গত বৃহস্পতিবার রাতে ২৫টি ট্রলিযোগে গুদাম থেকে সরকারি ৬০০ বস্তা চাল সরিয়ে ফেলেন তিনি। চালগুলো উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের সুকানদিঘী এলাকার চালকল মালিক একরামুল হকের গুদামে নেওয়া হয়। বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক সরকারি গুদামে অভিযান চালান কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জহির ইমাম। সেখানে চালের হিসাবে গরমিল পাওয়া যায়। তখন অভিযুক্ত গুদাম কর্মকর্তা ফেরদৌস আলমকে পাওয়া যায়নি।

এরপর জেলা খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে তখনই একরামুল হকের যে গুদামে চালগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে সেখানে অভিযান চালান কালীগঞ্জ ইউএনও জহির ইমাম। পরে একরামুল হকের গুদাম থেকে ৩০ টন ওজনের ৬০০ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়। ওই গুদাম মালিককেও পাওয়া যায়নি। 

এ ঘটনা তদন্তে শুক্রবার বিকেলে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আহ্বায়ক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে (ভার) সদস্য সচিব করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিকে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। 

এদিকে, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার। এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। 

কালীগঞ্জ ইউএনও জহির ইমাম বলেন, ট্রলিতে করে রাতের আঁধারে গুদাম থেকে চাল সরানো হচ্ছে- এমন গোপন খবরে রাতেই গুদাম পরিদর্শনে যাই। সেখানে গুদাম কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরামর্শে গুদাম সিলগালা করা হয়। এরপর অভিযান চালিয়ে ৬০০ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়। গুদাম কর্মকর্তার সন্ধান পেতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। 

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার বলেন, গুদামের ২৫০ টন চাল আত্মসাৎ করে নিখোঁজ রয়েছেন গুদাম কর্মকর্তা ফেরদৌস আলম। আমরা অভিযান চালিয়ে ৬০০ বস্তা অর্থাৎ ৩০ টন চাল উদ্ধার করেছি। বাকিটা উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমি নিজেও গুদাম পরিদর্শন করেছি। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিডি প্রতিদিন/



এই পাতার আরো খবর