লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে ২৫০ টন চাল আত্মসাৎকারী গুদাম কর্মকর্তা ফেরদৌস আলমকে (৫০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় হাতীবান্ধা উপজেলার দৈখাওয়া এলাকায় এক চাল ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে সরকারি গুদামের চাল সরিয়ে নেওয়ার পর থেকেই তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।
এদিকে, শুক্রবার উপজেলার বিভিন্ন ব্যবসায়ীর গুদাম ও চাতালে লোপাট হওয়া সরকারি চাল উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহির ইমাম। তখন উপজেলার শুকানদিঘি এলাকার ব্যবসায়ী একরামুল হকের গুদাম থেকে ৩০ টন এবং রাতে তুষভাণ্ডার বাজারের পেট্রোলপাম্পে রাখা একটি ট্রাক থেকে সাড়ে ২৪ টনসহ মোট ৫৪ টন চাল উদ্ধার করা হয়। তুষভান্ডার বাজারের ইউনুস আলী আশরাফী নামের একজন ব্যবসায়ী চালগুলো অন্যত্র পাঠাতে ট্রাকটি ভাড়া করেছিলেন বলে জানা গেছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়নের খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা খাদ্য পরিদর্শক (ওসি এলএসডি) ফেরদৌস আলম গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ২৫টি ট্রলিযোগে গুদাম থেকে চাল সরিয়ে ফেলেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক গুদামে অভিযান চালান কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জহির ইমাম। তখন চালের হিসাবে গরমিল ও গুদাম কর্মকর্তা লাপাত্তা থাকায় গুদাম সিলগালা করা হয়।
চাল খোয়া যাওয়ার বিষয়টি তদন্তে ৪ অক্টোবর সকালে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার। ওই কমিটিতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আহ্বায়ক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে সদস্যসচিব করে গঠিত তদন্ত কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
কালীগঞ্জ থানার ওসি ইমিতিয়াজ কবির বলেন, ‘এ ঘটনায় কালীগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এনামুল হকের দায়ের করা অভিযোগটি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত কার্যালয় কুড়িগ্রামে পাঠানো হয়েছে। শনিবার গ্রেফতার খাদ্য কর্মকর্তা থানা হেফাজতে রয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ