টানা বর্ষণ আর ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ও ধৌবাঊরার পরে ডুবেছে নেত্রকোনা।
গতকাল শনিবার থেকে ভোগাই ও নেতাই নদীর পানি কংস এবং সোমেশ্বরী দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার পূর্বধলা জারিয়া নাটেরকোনাসহ দুর্গাপুরের নদী তীরের বেশ কিছু গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। মাত্র দুই থেকে আড়াই ঘণ্টার মধ্যে এইভাবে পূর্বধলা কংস নদীর পাড়ের কালিদাস বেড়িবাঁধ সড়ক উপছে গ্রামের বাড়ি-ঘরে ঢুকছে পানি।
স্থানীয়দের ধারণা, অন্তত ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। ডুবে গেছে একই এলাকায় ময়মনসিংহ জারিয়া রেললাইনের আধা কিলোমিটার অংশ।
যে কারণে ওই রুটের আন্তঃনগর ট্রেনটি জারিয়ার অভিমুখে এসে লাইনে পানি থাকায় স্থানীয়দের সংকেতে ধীরে ধীরে পার হয়।
এদিকে, কংস নদীর আশপাশের জারিয়া ও নাটেরকোনা গ্রামের কয়েক হাজার পানিবন্দী মানুষ বাড়ি ছেড়ে দিচ্ছেন। আজ রবিবার সকাল থেকেই এসব এলাকায় দ্রুত বেগে পানি ঢুকছে বলে জানান ভোগান্তির শিকার মানুষেরা।
সুমন মিয়া নামের এক বাসিন্দা জানান, কালিদাস বাঁধের সড়কটি করার সময় বলা হয়েছিল উঁচু করে করতে। কিন্তু তা না করে যত্রতত্রভাবে করায় প্রায় শতাধিক মিটার সড়ক উপছে পানি ঢুকছে। ভেঙে যাচ্ছে নিচু অংশটি।
নদীর ধারণক্ষমতা না থাকায় এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান হযরত আলী। তারা বলেন, এখানে বিভিন্ন বাহিনী ত্রাণ দিয়ে গেছে কিছু কিছু মিডিয়ায় বললেও এখানে কেউই আসেনি। মানুষকে বিপদে দেখে সবাই ফায়দা লুটছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সকাল ১০টায় কংস নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতেই পানি উপচে গ্রামে প্রবেশ করে।
অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তরের নেত্রকোনার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মামুন। তিনি আরও জানান, এর আগের ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়। ওই বৃষ্টিতেই মূলত পানিটা বেড়েছে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ