ঢাকা, শনিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ঢল-বর্ষণে নালিতাবাড়ী প্লাবিত, কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দী
নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর পানি গতরাত থেকে কমতে শুরু করেছে। নিম্নাঞ্চলের যোগানিয়া, মরিচপুরান, কলসপাড়, রাজনগর ইউনিয়নে নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে হাজার হাজার পরিবার পনিবন্দী হয়ে পড়েছেন। 

এদিকে, সড়কে পানি উঠায় নালিতাবাড়ী থেকে নকলা উপজেলার দুই লেন সড়ক যাতায়াত ব্যাহত হচ্ছে। পানিবন্দী মানুষদের সরিয়ে আনতে সেনাবাহিনীর ৬টি স্পিটবোড কাজ করছে। এছাড়া সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে ত্রাণ কাজ অব্যাহত রয়েছে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, আজ রবিবার সকাল ১০টায় ভোগাই নদীর পানি বিপদ সীমানার ৫৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। চেল্লাখালী নদীর পানি বিপদ সীমানার ৫৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) রাত থেকে ভারি বৃষ্টি ও ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে নেমে আসা ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীতে পাহাড়ি ঢল নামে। এতে ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর বিভিন্ন অংশ ভেঙে ও বাধ উপচে ঢলের পানি উপজেলার কাকরকান্দী, নালিতাবাড়ী, পোড়াগাঁও, নয়াবিল, নন্নী, রামচন্দ্রকুড়া, বাঘবেড় ও পৌরসভা প্লাবিত হয়। গতকাল (০৫ অক্টোবর) শনিবার সকাল থেকে সেনাবাহিনীর ৬০ জন সদস্য ৬টি স্পীডবোটের মাধ্যমে পানিবন্দী মানুষদের উদ্ধার করে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। সরকারি-বেসরকারিভাবে ১৫ হাজার পরিবারকে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রাত থেকে উজানের পানি নিন্মাঞ্চল হিসেবে যোগানিয়া, মরিচপুরান, কলসপাড়, রাজনগর ইউনিয়নে নুতন নতুন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। 

যোগানিয়া ইউনিয়নের ২৭টি গ্রামে ১০ হাজার পরিবার, মরিচপুরান ইউনিয়নে ১৪টি গ্রামের ১২ হাজার পরিবার, কলসপাড় ইউনয়নে ১৫টি গ্রামে ১৫ হাজার পরিবার ও রাজনগর ইউনিয়নের ৬টি গ্রামের প্রায় ৩হাজার পরিবারের বাড়ীতে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় সবাই পনিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিবন্দী মানুষদের উদ্ধার করতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ছাড়াও সেনাবাহিনী স্পিডবোট কাজ করছে। সড়কে পানি উঠায় নালিতাবাড়ী থেকে নকলা উপজেলার দুইলেন সড়ক ও নালিতাবাড়ী থেকে গাজীর খামার হয়ে শেরপুর সড়কে যাতায়াত ব্যাহত হচ্ছে।

কলসপাড় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ বলেন, কলসপাড় ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের বাড়ি ঘরে পানি উঠেছে। লোকজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্কুল ও সড়কে নিয়ে আসা হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ রানা বলেন, ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। ভাটিতে পানি নেমে যাওয়ায় নতুন করে ৪টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী পরিবারকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা স্পিডবোটের মাধ্যমে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করছেন। পানিবন্দী মানুষের উদ্ধার কাজ ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের কাজ অব্যাহত রয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত



এই পাতার আরো খবর