ঢাকা, শনিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

বগুড়ায় রং তুলির আঁচড়ে ফুটে উঠছে দেবীর সৌন্দর্য
নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

শেষ মুহূর্তে বগুড়ায় প্রতিমার গায়ে রং তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তুলেছেন দেবীর সৌন্দর্য। মণ্ডপে মণ্ডপে দেবী দুর্গা প্রতিমাকে দৃষ্টিনন্দন করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। তাদের দম ফেলার সময় নেই। কারিগরদের হাতের শৈল্পিক ছোয়ায় জীবন্ত হয়ে উঠেছে প্রতিমা। এদিকে আয়োজকরাও মণ্ডপে পূজা উদযাপনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

বগুড়া পূজা উদযাপন কমিটির তথ্য অনুযায়ী জেলার ১২টি উপজেলায় এবার ৬২৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরমধ্যে বগুড়া সদরে ১১৭টি, শিবগঞ্জে ৫৩টি, আদমদিঘীতে ৬৩টি, দুপচাঁচিয়ায় ৪০টি, কাহালুতে ২৭টি, নন্দীগ্রামে ৪৫টি, শাজাহানপুরে ৪৮টি, গাবতলীতে ৬৩টি, সোনাতলায় ৩৫টি, শেরপুরে ৮৬টি, ধুনটে ২৮টি ও সারিয়াকান্দিতে ২৩টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। উৎসবমুখর পরিবেশ ও শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপনে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি মণ্ডপে থাকবে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা। 

জানা যায়, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজার আর মাত্র তিনদিন বাকি। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। মণ্ডপে মণ্ডপে দেবী দুর্গা প্রতিমাকে দৃষ্টিনন্দন করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। আগামী ৯ অক্টোবর মহাষষ্ঠীতে দেবী দুর্গার বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে পাঁচদিনের শারদীয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। আর বিজয় দশমীতে বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে। এবছর দুর্গার আগমন হবে দোলায় বা পালকিতে ও গমন করবেন গজ বা হাতিতে। এই বিশেষ ক্ষণের জন্য দিন গুণছেন ভক্ত অনুরাগীরা। বগুড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলার মণ্ডপে চলছে নানান প্রস্তুতি। সাজসজ্জা, আলোকসজ্জা, প্যান্ডেল তৈরি ও ডেকারেশনসহ অন্যান্য কাজগুলো এগিয়ে চলছে। 

বগুড়া শহরের উত্তর চেলাপাড়া নববৃন্দাবন হরিবাসর মন্দির প্রাঙ্গণে বিশ্বকর্মা প্রতিমা তৈরির কারখানার সত্ত্বাধিকারী কাজল চন্দ্র প্রামানিক জানান, অর্ডারমত প্রতিমায় রঙের ও অলংকরণের কাজ শেষের দিকে। এখন ডেলিভারি দেয়া হচ্ছে। এবার প্রতিমা বানানোর খরচ আগের চেয়ে বেশি। তিনি বলেন, এবার ৩০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রতিমা বিক্রি করা হচ্ছে। 

বগুড়া পৌর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি পরিমল প্রসাদ রাজ জানান, বগুড়া পৌর এলাকায় এবার ৭৩টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। 

বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার মো. জেদান আল মুসা জানান, মণ্ডপগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত ছাড়াও প্রতিটি পূজা মণ্ডপে পুলিশি টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেউ আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করলে কঠোরভাবে দমন করা হবে। 

বিডি প্রতিদিন/হিমেল



এই পাতার আরো খবর