নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে শামীম ওসমানের লোকজন বসে আছেন। তারা এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। ১০ থেকে ২০টি হত্যাকাণ্ডের পরও তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। বরং প্রশাসন তাদের পাহারা দিয়ে রেখেছেন- এমন অভিযোগ করেছেন নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত হত্যাকাণ্ড তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীর বাবা ও সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বী।
গতকাল মঙ্গলবার চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত আলোক প্রজ্বলন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা ও বিচারহীনতার ১৩৯ মাস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
রফিউর রাব্বী আরও বলেন, শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে দীর্ঘদিন ত্বকী হত্যার বিচার কার্যক্রম আটকে থাকার পর অন্তর্বর্তী সরকারের সদিচ্ছার কারণে ত্বকী হত্যার বিচার পুনরায় শুরু হয়েছে। আমরা তাদের সাধুবাদ জানাই। তদন্তকারী সংস্থা র্যাব নতুন করে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছেন। আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে শামীম ওসমান, অয়ন ওসমান জড়িত। এই হত্যার সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা শুনছি ওসমান পরিবারের সবাই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। যদি তারা পালিয়ে যেতে পারেন তাহলে তাদের পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ কে দিলেন? যারা তাদের পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করলেন সেসব সহযোগিরা এই সরকারের বিভিন্ন স্থানে যুক্ত রয়েছেন। তাই আজ আমরা সংশয় নিয়ে বলছি ত্বকী হত্যাকাণ্ডের সমস্ত তদন্ত কাজ শেষ হওয়ার পর আমরা বুঝতে পারবো কতটা সুষ্ঠুভাবে তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ নারায়ণগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক থেকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয় তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীকে। এরপর ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদী সংলগ্ন কুমুদিনী খাল থেকে তার ক্ষত বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় রফিউর রাব্বী বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন। এরপর থেকেই প্রতি মাসের ৮ তারিখ আলোক প্রজ্বালন কর্মসূচি পালিত হয়ে থাকে।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ