রংপুরসহ আশপাশ এলাকায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমেতে শুরু করেছে। গভীর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত শিশির বিন্দুর সাথে শীতের আমেজ দেখা দিয়েছে। অথচ কয়দিন আগেও তাপদাহে জনজীবন ওষ্ঠাগত ছিল।
কয়দিন থেকে বৃষ্টিপাতের ফলে জনজীবনে কিছুটা স্বস্থি এলেও নদীপাড়ের মানুষের ছিল দুশ্চিন্তা। এক সপ্তাহ আগেও তিস্তা-ধরলাসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করলেও বর্তমানে নদীর পানি স্থিতিশীল রয়েছে। বর্তমানে শহরের পাশাপাশি নদীপাড়েও শীতের আমেজ দেখা দিয়েছে। জানা গেছে,গত কয়েকদিন আগেও রোদের তাপে সকলেই একটু ছায়ার জন্য পাগল ছিল। অনেকে মসজিদে নামাজ শেষে মেঝেতেই শুয়ে পড়ছেন ক্লান্তি কাটানোর জন্য। মাঝারি তাপপ্রবাহের কারণে জনজীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল মারাত্মক। আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে শুরু করে বেশ কয়েকদিন ধরে। কয়েকদিন থেকে থেমে থেমে বৃষ্টিও হয়েছে। বৃষ্টিপাতের ফলে প্রকৃতি কিছুটা শীতল হয়। মানুষ মনের মাঝে স্বস্থি আসে। আমান চাষিদের মাঝে স্বস্থি ফিরে আসে। বৃষ্টি হওয়ায় সেচের বাড়তি খরচ কিছুটা কমে কৃষকদের। এদিকে আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানাগেছে, শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলয়িাস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫ ডিগ্রী সেলয়িাস। বৃহস্পতিবার সর্বোচ্ছ ছিল ৩৩ ডিগ্রী সেলসিয়া এবয় সর্বোনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৪ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়ার। এর আগের দিন বুধবার বিকেল ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ দশমিক ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। দেখা গেছে প্রতিদিনই তাপমাত্রা কিছুটা হৃাস পাচ্ছে। সেই সাথে গভীররাত থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত শীতের আমেজ অনুভূত হচ্ছে। তবে দুপরে এখনও গরমের রেশ ভালই রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম