চাইলে নাম পাঠাতে পারেন। তবে সেটা বিবেচিত হবে বিশেষজ্ঞদের গোল টেবিল বৈঠকে। তারপর সবকিছু খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ভারত মহাসাগর সংলগ্ন দেশগুলোর আবহাওয়া ভিত্তিক আঞ্চলিক কমিটি।
আপাতত পরবর্তী ঝড়ের দুটি নাম পবন ও আমফান। আর এ দুটি নামের পরই শেষ হচ্ছে তালিকা।
কিন্তু ঝড় তো আসতেই থাকবে। তখন তার নাম কী হবে? সেটা নিয়েই মাথাগরম আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের। বুলবুল নামকরণ করেছে পাকিস্তান। আর আসতে চলা ঘূর্ণিঝড় পবনের নাম দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। আমফানের নামকরণ করে থাইল্যান্ড।
পূর্ববর্তী সামুদ্রিক ঝড়গুলোর মধ্যে ভারতের পুরীতে আছড়ে পড়া ‘ফণী’র তাণ্ডব লক্ষ্য করা গেছে উড়িষ্যা উপকূলে।
‘ফণী’র নামকরণ করেছিল বাংলাদেশ। সিডর ( ওমান), নার্গিস (পাকিস্তান), বিজলি ( ভারত), আয়লা (মালদ্বীপ) এছাড়াও অন্যান্য ঝড়ের নামও ব্যবহার হয়ে গেছে।
নিয়মানুসারে এই নামগুলো আর দ্বিতীয়বার আর ব্যবহার করা যাবে না।
আপাতত বুলবুলের আতঙ্ক নিয়েই ভারত ও বাংলাদেশের উপকূলবর্তী এলাকাবাসী কাঁপছেন। উপগ্রহ চিত্র বলছে, বঙ্গোপসাগরের বুকে তৈরি হওয়া এই ঝড়টির গতিপথ নিয়েই চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা। হয় বাংলাদেশের চট্টগ্রাম সংলগ্ন উপকূলে তছনছ করবে, নাহলে উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে দাপট দেখাবে। প্রবল গতি নিয়ে আছড়ে পড়বে বুলবুল।
ঝড়ের এই নামকরণ নিয়ে বিস্তর গবেষণা চলে। ২০০৪ সাল থেকে শুরু হয় পৃথক নাম দেওয়ার পালা। তার আগে স্থানভিত্তিক নামেই সামুদ্রিক ঝড়গুলো পরিচিত হত।
সূত্র: কলকাতা২৪
বিডি প্রতিদিন/কালাম