ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর প্রভাবে উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলায় আজ শুক্রবার সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন অবস্থায় রয়েছে। দিনভর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। তবে নদী এখনো উত্তাল হয়ে উঠেনি। 'বুলবুল' মোকাবিলায় ভোলায় ৮ কন্ট্রোল রুম, ৬৬৮ আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এছাড়া ভোলা রেডক্রিসেন্টের সদস্যরা নদী তীরবর্তী জনগণকে সর্তক করতে মাইকে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর প্রভাব মোকাবেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
খোলা হয়েছে ৮টি কন্ট্রোল রুম। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৬৬৮টি আশ্রয় কেন্দ্র। মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে ১৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া প্রশাসনের সকল কর্মকর্তার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টায় ভোলা জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জরুরি সভা করেছে। ভোলার জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মাহামুদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মীর্ধা মুজাহিদুল ইসলাম, জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির কর্মকর্তা, রেড ক্রিসেন্ট, সিপিপির কর্মীসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক জানান, দুর্যোগ মোকাবেলায় ৮টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে এবং ৬৬৮টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ১৩ হাজার সেচ্ছাসেবী মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য সর্তকতামূলক মাইকিং করছেন। ৯২টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী ও শুকনা খাবার, চাল, টিন মজুদ রয়েছে। দুর্যোগকালীন প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক