কক্সবাজারের বিভিন্ন হাসপাতালে ২৯ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে ২৩ জন সদর হাসপাতালে, টেকনাফে শিশুসহ ৩ জন ভর্তি রয়েছেন চকরিয়া হাসপাতালে। এর মধ্যে ১২ জন রোগী কক্সবাজারের বাইরের থেকে এই ডেঙ্গু জীবানু বহন করে নিয়ে এসেছেন। আক্রান্তদের মধ্যে একজন পর্যটকও রয়েছেন।
কক্সবাজারে বসবাসকারিদের মধ্যে ১২ জন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত গত ৯ দিনে ৪১ জন রোগী সনাক্ত করা হয়। এর মধ্যে একজন মারা গেছেন, ১৮ জন চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন আর ২৯ জন ভর্তি রয়েছেন। ভর্তিকৃতদের মধ্যে ১৯ জন পুরুষ ও ৯ জন মহিলা ১ শিশু।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীদের মধ্যে রামু, উখিয়া, টেকনাফ, সদর উপজেলার খুরুস্কুল, পৌর শহরের নুনিয়াছড়াসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত লোকজন।
কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, ৩ আগষ্ট ডেঙ্গু রোগে আরো কিভাবে ভালো চিকিৎসা দেওয়া যায় সেই লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অংশগ্রহণে মেডিকেল বোর্ড বসবে। তিনি বলেন, জ্বর হলে দ্রুত রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে। হাতুড়ে ডাক্তারের কাছে যাওয়া যাবে না। প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য ঔষুধ দিলে রোগির ভয়াবহতা বেড়ে যাবে। এমন কি মল ত্যাগের সময় রক্ত যেতে পারে। তাই সতর্ক থাকতে সবাইকে।
সিভিল সার্জন ডা: আবদুল মতিন জানান, কক্সবাজারে মোট ২৯ জন রোগী বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। কক্সবাজারে যাতে ডেঙ্গু ছড়াতে না পারে সেজন্য প্রত্যেক ইউনিয়ন, পৌরসভা, উপজেলায় মাইকিং করে সচেতনতামূলক বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হচ্ছে। ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্ক হওয়ার কিছু নেই। তবে সবাইকে সচেতন হতে হবে, থাকতে হবে সতর্ক।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল