ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

নীলফামারীতে ২৩ ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত, ফগার মেশিন বিকল
নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতাল ও ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শনিবার আরও দুই ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায়  ২৩ ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। 

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি আক্রান্তরা সকলেই ঢাকায় আক্রান্ত হয়ে এলাকায় ফিরেছে। তাদের মধ্যে জেলা সদরের লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের লক্ষ্মীচাপ গ্রামের রায়হান ইসলাম (১৭) শনিবার সকাল ১১টার দিকে নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি হন। এ নিয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় সাতজনে।

তাদের মধ্যে রায়হান, ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের বড়গাছা গ্রামের হরিদাস রায় (৩০), জেলা সদরের চওড়াবড়গাছা ইউনিয়নের কিসামত দলুয়া গ্রামের সুজন রায়সহ (১৬) তিনজন শনিবার দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসাধীন রয়েছে। অপর চারজনের মধ্যে শনিবার সকালে ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের দোলাপাড়া গ্রামের রিয়াজুল ইসলাম (২৫), গত শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকালে জেলা শহরের গাছবাড়ি এলাকার আব্দুল লতিফ (৪৫), ৩১ জুলাই জেলা সদরের চড়াইখোলা ইউনিয়নের পশ্চিম কুচিয়ার মোড় গ্রামের পরিতোষ রায়কে (২৮) উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ৩১ জুলাই বাড়িতে ফিরেছে জেলা সদরের রামনগর ইউনিয়নের দোলাপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিম (২৪)। 

হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত ২৫ জুলাই থেকে আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত সাতজন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে আসে। আক্রান্তরা সকলে ঢাকা থেকে এসেছে। এর মধ্যে আব্দুর রহিম এবং পরিতোষ রায় ২৫ জুলাই, ৩০ জুলাই আব্দুল লতিফ এবং ৩১ জুলাই হরিদাস ও সুজন ভর্তি হয়। শনিবার সকালে (৩ আগস্ট) ভর্তি হয় রায়হান।

এদিকে, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে শনিবার সকালে ডোমার উজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয় জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল ইউনিয়নের গড়ধর্মপাল গ্রামের সাহাবুল ইসলাম (২২)। 

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা রায়হান বারি জানান, সাহাবুল ঢাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে ফিরে এসে হাসপাতালে ভর্তি হয়। ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়া এটিই প্রথম রোগী বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সিভিল সার্জন রনজিৎ কুমার বর্মন বলেন, শনিবার পর্যন্ত জেলায় ২৩ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সাতজন নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে ও একজন ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্ষে ভর্তি হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে একজন সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছে। তিনজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। অপর চারজনের চিকিৎসা চলছে। অন্যরা কেউ বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছে, কেউ সুস্থ হয়েছে, কেউ জেলার বাইরের হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং চিকিৎসার কোনো সমস্যা নেই। ডেঙ্গু যাতে না ছড়ায় সে ব্যাপারে জনগণকে সচেতন করা হচ্ছে। 

বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম



এই পাতার আরো খবর