বগুড়ায় নতুন করে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১ জন। জেলার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৩০ জন। এরমধ্যে জেলার সোনাতলা উপজেলায় ঈদের ছুটির মধ্যে উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্সসহ আক্রান্ত হয়েছেন ১০ জন।
বগুড়া জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঈদের ছুটির কারণে ঢাকা থেকে অনেকেই বগুড়ায় এসেছেন। এ কারণে ছুটির মধ্যে বগুড়ায় ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বেড়ে যায়। ঈদের ছুটি শেষ হওয়ার কারণে অনেকেই আবার ঢাকায় কর্মে ফিরে যাচ্ছেন। সে কারণে বগুড়ায় এখন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কমছে।
ইতিমধ্যে জেলায় সরকারি বেসরকারিভাবে ডেঙ্গু রোগের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে জেলায় এই প্রকোপ আরো কমবে।
শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (শজিমেক) ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৯৬ জন, মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ২জন, আদমদিঘি উপজেলয়া ১ জন, শেরপুর উপজেলায় ৬ জন, সোনাতলা উপজেলায় ১ জন, বেসরকারি ক্লিনিক শামসুন নাহারে ৩ জন, ইসলামিয়া হাসপাতালে ৪জন, ডক্টরস ক্লিনিকে ২ জন, সিটি ক্লিনিকে ২ জন, টিএমএসএস হাসপাতালে ১৩ জন চিকিৎসা নিচ্ছে।
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স জুয়েলী বেগমসহ ওই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ১০ জন নারী পুরুষ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ১ জন রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাকিদের শজিমেকে স্থানন্তর করা হয়েছে।
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিকুর আলম জানান, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তদের বেশির ভাগ ঢাকা থেকে ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসেছিল।
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তদের মধ্যে ১ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেখে অন্যদেরকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। বর্তমানে তাদের অবস্থা আশংকামুক্ত।
বগুড়া জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ গওসুল আজিম চৌধুরী জানান, বগুড়ায় মোট ১৩০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের চিকিৎসার সার্বক্ষণিক খোঁজ নেয়া হচ্ছে। ঈদের ছুটির মধ্যে বগুড়ায় এসে তারা আক্রান্ত হয়েছে। অনেকই আবার ঢাকায় কর্মে ফিরে যাচ্ছে। এতে করে বগুড়ায় ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ কমবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার