ঢাকা, রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

মহামারিতে পরিণত হওয়ার শঙ্কা
ডেঙ্গু নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা
ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষ
অনলাইন ডেস্ক
গত ১২ জুলাই শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে ডেঙ্গু রোধে একটি আবাসিক এলাকায় মশার ওষুধ ছিটানোর সময় ধোঁয়া থেকে মুখ ঢেকে রেখেছে এক কিশোর। রয়টার্সের ছবি

এ বছর বিশ্বে ডেঙ্গুর প্রকোপ রেকর্ড উচ্চতার কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি এর জন্য অনেকাংশেই দায়ী, যা মশার বিস্তারের সহায়ক পরিবেশ তৈরি করছে। খবর রয়টার্সের।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ডেঙ্গুর বিস্তার পুরো বিশ্বেই বাড়ছে। ২০০০ সালে যত মানুষ মশাবাহিত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে তা আটগুণ বেড়ে ২০২২ সালে ৪২ লাখে পৌঁছেছে।

এ বছরের মার্চে সুদানের রাজধানী খার্তুমে প্রথমবারের মতো ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়। ইউরোপেও ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। পেরুর বেশিরভাগ অঞ্চলে ডেঙ্গুর কারণে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।

চলতি বছর বাংলাদেশের ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন হু হু করে বাড়ছে। গড়ছে নতুন নতুন রেকর্ডও।

গত জানুয়ারিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে জানিয়েছিল যে, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগের মধ্যে বর্তমানে ডেঙ্গুই বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এতে মহামারিতে পরিণত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। সংস্থাটির গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ড. রমন ভেলাউধন সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, বর্তমানে ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে রয়েছে বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষ।

২০১৯ সালে বিশ্বের ১২৯টি দেশে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ে। তখন সব মিলিয়ে ৫২ লাখ মানুষের ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। কিন্তু চলতি বছর ডেঙ্গু যেভাবে ছড়াচ্ছে, তাতে বিশ্বে রোগীর সংখ্যা ৪০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে কি না তা নির্ভর করছে এশিয়ার দেশগুলোতে বর্ষা মৌসুম দীর্ঘায়িত হবে কি না তার ওপর। তবে গত কয়েক বছরে ডেঙ্গু পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ আর্জেন্টিনায়।

উষ্ণ আবহাওয়া এডিস মশার দ্রুত বংশবৃদ্ধি এবং তাদের দেহের ভেতরে ভাইরাসের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে। পাশাপাশি নগরায়ন, পণ্য পরিবহন ও মানুষের চলাচল, দুর্বল পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা মশার বিস্তারে সহায়ক হয়।

 বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ



এই পাতার আরো খবর