ঢাকা, বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

এলজি’র উদ্ভাবনী বি-টু-বি টোটাল সল্যুশন
অনলাইন ডেস্ক
এলজি বাংলাদেশ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক পিটার কো

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এলজি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক পিটার কো বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স শিল্পের সম্ভাবনা নিয়ে কিছু কথা বলেন। গত বছরের জুলাই থেকে তিনি এলজি বাংলাদেশ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন। বর্তমানে বাংলাদেশে নতুন উদ্ভাবিত বিভিন্ন এলজি ইলেকট্রনিক্স পণ্যের পর্যবেক্ষণ করছেন পিটার কো। 

বাংলাদেশের বাজারের সুনির্দিষ্ট চাহিদা মেটানোর বিষয়ে পিটার কো বলেন, ‌‘বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের ক্রমবর্ধমান চাহিদা অনুসারে আমাদের পণ্যগুলোকে স্থানীয়করণের দিকে আমরা মনোনিবেশ করছি।’ 

তিনি বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য হলো বাংলাদেশে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোকে গতিশীল করতে বি-টু-বি মার্কেটে সেবা সরবরাহ করা। বর্তমান চলমান প্রকল্পগুলোর জন্য বিভিন্ন আইটি পণ্যের প্রয়োজন মেটাতে আমরা প্রস্তুত।” 

বিশ্বব্যাপী প্রচলিত এলজি’র উদ্ভাবনগুলো বাংলাদেশেও বিশেষ গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে। এ বিষয়ে কো বলেন, “ইলেকট্রনিক্সের বাণিজ্যিক চাহিদাপূরণের লক্ষ্যে আমরা বি-টু-বি ও বি-টু-সি সেগমেন্টগুলোতে ব্যবসায় প্রসার ঘটাচ্ছি। আর এই অবকাঠামোগত সাম্প্রতিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় আমরা অচিরেই বাংলাদেশের ডিজিটালাইজেশনে চমৎকার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি।’

বাংলাদেশের কনজিউমার ইলেকট্রনিক পণ্য শিল্পের ভবিষ্যত সম্পর্কে জানতে চাইলে এলজি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, “বাংলাদেশের বাজার ইলেকট্রনিক পণ্যের উদ্ভাবনের জন্য প্রস্তুত। দেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতিতে নতুন ব্যবসায়ের বাজার আরও সম্ভাবনাময় হয়ে উঠবে আমি মনে করি।” 

তিনি জানান, বাংলাদেশিদের মধ্যে বিশেষ করে দেশের তরুণদের মধ্যে প্রযুক্তি সম্পর্কে ক্রমবর্ধমান সচেতনতার মাধ্যমেই বাংলাদেশে ডিজিটাল উন্নয়নের প্রবৃদ্ধিকে কাজে লাগানো সম্ভব। এলজি কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কেওআইসিএ)-এর সাথে একযোগে বাংলাদেশের তরুণদের জন্য প্রশিক্ষণ সুবিধা প্রদানেরও উদ্যোগ নিয়েছে। এই উদ্যোগ অনুসারে ২০১৯ সালে ঢাকায় ও ২০২০ সালে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ-কোরিয়া টেকনিক্যাল ট্রেইনিং সেন্টার (বিকেটিটিসি) চালু করেছিল এলজি।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

  



এই পাতার আরো খবর