নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির জন্য আলাদা করে ডলার বরাদ্দ রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের কাছে এ চিঠি পাঠিয়ে আগামী রমজানের চাহিদা মেটাতে ছয়টি নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য আমদানির জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ ডলার কোটা হিসেবে আলাদা করে রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি পাঠানোর বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। এর আগে ৪ জানুয়ারি সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে ব্যবসায়ী নেতাদের এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। রমজানে পণ্যের দাম নাগালের মধ্যে রাখার বিষয়ে উদ্বেগ আছে, তার মধ্যে আমদানি না বাড়লে সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিতে পারে বলেও ব্যবসায়ীরা সতর্ক করেন। এ সমস্যা সমাধানে ভোজ্য তেল, চিনি, মসুর ডাল, ছোলা ও খেজুর-এই ছয়টি পণ্যের এলসি খোলার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ ডলারের কোটা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করেন বাণিজ্য সচিব। বাণিজ্য সচিব সাংবাদিকদের জানান, শিল্পপণ্য রপ্তানি ও রেমিট্যান্স থেকে যে ডলার আসে, সেখান থেকে একটি অংশ নিত্যপণ্য আমদানির জন্য সংরক্ষণ করতে বলেছি। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে কোনো ডলার ব্যয়ের কথা বলা হয়নি। শুধু আগামী রমজানে পণ্য চাহিদা মেটাতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আমদানিকারকদের জন্য কী পরিমাণ ডলার রাখা হবে, সে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সিদ্ধান্ত নেবে। সবকিছু বাংলাদেশ ব্যাংকের ওপর নির্ভর করবে। ব্যাংকগুলো তাদের ডলারের কত অংশ নিত্যপণ্য আমদানির এলসিতে ব্যয় করবে, সে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের নির্দেশনা দেবে বলে জানান বাণিজ্য সচিব।