ভারতে পাচারকালে গত এক বছরে ১৬০ কেজি সোনাসহ ৪২ ‘পাচারকারী’কে আটক করা হয়েছে। জব্দ এসব সোনার মূল্য প্রায় ১২৯ কোটি টাকা। ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সীমান্তগুলো দিয়ে ভারতে পাচারকালে এই বিপুল পরিমাণ সোনা জব্দ করেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা। জব্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়ন। এ ব্যাটালিয়নের অধিভুক্ত সীমান্ত দিয়ে জব্দ সোনার পরিমাণ ৭৯ কেজি ৪৭৩ গ্রাম। যার বাজার মূল্য ৬৬ কোটি ৮৭ লাখ ৩৬ হাজার ৭০০ টাকা। এসব সোনা পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে বিজিবি ১৬ জনকে আটক করেছে।
অপর দিকে ২১ বিজিবি খুলনা ব্যাটালিয়নের অধিভুক্ত সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের সময় জব্দ করা হয় ৪৬ কেজি ৭৩৭ গ্রাম সোনা। যার মূল্য প্রায় ৩২ কোটি ২৯ লাখ ৮২ হাজার ১৭৮ টাকা। এসব সোনা পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে বিজিবি ১৮ পাচারকারীকে আটক করে।
তারপরও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সোনা পাচারের লাগাম টেনে ধরতে পারছে না বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে যশোরের শার্শা থানা ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৭ কেজি ৮ গ্রাম সোনাসহ চারজনকে আটক করেছে। এছাড়া গত ১ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১২ টার দিকে শার্শার সাতমাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৮ কোটি টাকা মূল্যের ৯ কেজি ৭৫৮ গ্রাম ওজনের ৩০টি সোনার বারসহ দুইজনকে আটক করা হয়। এ সময় সোনা চোরাকারবারি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। সোনা পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ রবিন ও আবুল কাশেম দুই পাচারকারীকে আটক করে। এরপর ৭ নভেম্বর দুপুরে শার্শার গোড়পাড়ার আমতলা থেকে গোড়পাড়া ফাঁড়ি পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৫ কোটি টাকার মূল্যের ৭ কেজি ২৫ গ্রাম ওজনের ৬২টি সোনার বারসহ নাইম হোসেন ও আজহারুল ইসলাম দুইজনকে আটক করে। এ ঘটনায় পলাতক আরও তিনজনের বিরুদ্ধে পুলিশ সোনা পাচারের মামলা করেছে।
যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটেলিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মিনহাজ সিদ্দিকী বলেন, গত ১২ মাসের অভিযানে বিপুল পরিমাণ সোনা জব্দ করা সম্ভব হয়েছে। বিশেষ করে বেনাপোলের আমড়াখালিতে গত ১৬ নভেম্বর তল্লাশি চালিয়ে সাড়ে ১৫ কোটি টাকা মূল্যের সাড়ে ১৬ কেজি সোনাসহ দুজনকে আটক করে।